পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূলোক > 分 নাইট্রোজেন, ২১ ভাগ অক্সিজেন । হাইড্রোজেন এবং আর আর যে সব গ্যাস আছে সে অতি সামান্ত । অক্সিজেন গ্যাস মিশুক গ্যাস, লোহার সঙ্গে মিশে মর্চে ধরায়, অঙ্গার পদার্থের সঙ্গে মিশে আগুন জ্বালায়—এমনি ক’রে বায়ুমণ্ডল থেকে নিয়ত তার অনেক খরচ হোতে থাকে । এদিকে গাছপালার বাতাসের অঙ্গারাম গ্যাসের থেকে নিজের প্রয়োজনে অঙ্গার আদায় ক’রে নিয়ে অক্সিজেন ভাগ বাভাসকে ফিরিয়ে দেয় । এ না হোলে পুথিবীর হাওয়া অঙ্গারায় গ্যাসে ভ’রে যেত, মানুষ পেত না তার নিশ্বাসের বায়ু । আকাশের অনেকটা উচু পর্যন্ত হাওয়াব বেশি পরিবতন হয়নি । যে সব গ্যাস মিশিয়ে হাওয়া তৈরি তাদের অনেকটাই আরো অনেক উচুতে পৌছয় না। খুব সম্ভব সবচেয়ে হালকা তুটো গ্যাস, অর্থাৎ হেলিয়ম এবং হাইড্রোজেনে মিশোনো সেখানকার হাওয়া । বাতাসের ঘনত্ব কমতে কমতে ক্রমশই বাতাস অনেক উধেব উঠে গিয়েছে । বাহির থেকে পৃথিবীতে যে উল্কাপাত হয় পুথিবীর হাওয়ার ঘর্ষণে তা জ্বলে ওঠে, তাদের অনেকেরই এই জ্বলন প্রথম দেখা দেয় ১২০ মাইল - উপরে । ধরে নিতে হবে তার উধেবর্ণ অারো অনেকখানি বাতাস আছে যার ভিতর দিয়ে আসতে আসতে তবে এই জ্বলনের অবস্থা ঘটে । সূর্যের আলো ৯ কোটি মাইল পেরিয়ে আসে পৃথিবীতে । গ্ৰহ-বেষ্টনকারী আকাশের শূন্তত পার হয়ে আসতে 이