পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমাণুলোক S X লোহাট। গ্যাস হয়ে যাবে। এ সমস্তষ্ট জাদুকর তাপের কাও, স্বষ্টির আরম্ভ থেকে আজ পর্যন্ত চলেছে । সূর্যের আলো সাদা । এই সাদা রঙে মিলিয়ে আছে সাতটা বিভিন্ন রঙের অালো । যেন সাত রঙের রশ্মির পেখম, গুটিয়ে ফেললে দেখায় সাদা, ছড়িয়ে ফেললে দেখায় সাতরঙ । সেকালে ছিল ঝাড় লণ্ঠন, বিজলি বাতির তাড়ায় তারা হয়েছে দেশছাড়া । এই ঝাড়ের গায়ে তুলত তিনপিঠওয়ালা র্কাচের পরকলা । এই রকম তিনপিঠওয়াল কাচের গুণ এই যে, ওর ভিতর দিয়ে রোদর এলে তার থেকে সাত রঙের আলো ভেঙে ছড়িয়ে পড়ে। পরে পরে রং বিছানে৷ হয় ; বেগনি (Wiolet ), অতিনীল ( Indigo ), নীল (Blue), Ho (Green ), oftw (Yellow ), ataffs ( Orange ) আর লাল ( red ) এই সাতটা রং চোখে দেখা যায় কিন্তু এদের দুই প্রান্তের বাইরে আরো ভিন্ন তেজের ঢেউ আছে, তারা আমাদের সহজ চেতনায় ধরা দেয় না । সেই জাতের যে তেজ বেগনি রঙের পরের পারে তাকে বলে ultra violet light, সহজ ভাষায় বলা যাক বেগনি-পারের আলো । আর যে আলো লালের এলাকায় এসে পৌছয়নি, রয়েছে তার আগের পারে তাকে বলে infra-red light, আমরা বলতে পারি লাল-উজানি আলো । স্তর উইলিয়ম হশেল ছিলেন এক মস্ত জ্যোতির্বিজ্ঞানী। তিনপিঠওয়ালা কাচের মধ্য দিয়ে তিনি পরীক্ষা ক’রে দেখেছিলেন আলোর সাতরঙা ছটা । তাপ-মাপের নল নিয়ে এক একটা রঙের