পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ বিশ্ব-পরিচয় ওড়াবার পক্ষে যেমন কেজো, জ্বালাবার পক্ষে তার চেয়ে কম না । এই গ্যাস অনেক মস্ত মস্ত উড়ো জাহাজকে জালিয়ে মেরেছে । হালিয়ম গ্যাসের মধ্যে প্রচ্ছন্ন তুরস্ত জ্বলনচণ্ডী নেই, অথচ হাইড্রোজেন ছাড়া সকল গ্যাসের চেয়ে এ হালকা । তাই জাহাজ ওড়ানোকে নিরাপদ করবার জন্তে তারি ব্যবহার চলতি হয়েছে । চিকিৎসাতেও কোনো কোনো রোগে এর প্রয়োগ শুরু হোলো । পূবেই বলা হয়েছে পজেটিভ চার্জওয়ালা পদার্থ নেগেটিভ চাজ ওয়ালা পদার্থকে পরস্পর কাছে টানে কিন্তু এক ষ্ট জাতীয় চার্জওয়ালারা পরস্পরকে ঠেলে ফেলতে চায়। যতই তাদের কাছাকাছি করা যায় ততই উগ্র হয়ে ওঠে তাদের ঠেলার জোর । তেমনি বিপরীত চার্জওয়ালারা যতই পরস্পরের কাছে আসে তাদের টানের জোর ততই বেড়ে ওঠে । এইজন্তে যে সব ইলেকট্রন কেন্দ্রবস্তুর কাছাকাছি থাকে তারা টানের জোর এড়াবার জন্যে দূরবতীদের চেয়ে দৌড়য় বেশি জোরে । সৌরমণ্ডলে যে সব গ্রহ সূর্যের যত কাছে তাদের দৌড়ের বেগ ততই বেশি। দূরের গ্রহদের বিপদ কম, তারা অনেকটা ধীরে সুস্থে চলে। এই ইলেকটন প্রোটনের ব্যাস সমস্ত পরমাণ র পঞ্চাশ হাজার ভাগের একভাগ। অর্থাৎ পরমাণ র মধ্যে শূন্যতাই বেশি। একটা মানুষের দেহের সমস্ত পরমাণ, যদি ঠেসে দেওয়া হয়, তাহলে তার থেকে একটি অদৃশ্যপ্রায় বস্তু বিন্দু তৈরি হবে ।