পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমাণুলোক Ο a পরমাণু আছে হেলিয়মের পরমাণু তার চেয়ে অনেক হালকা আর ছোটো । এই তিন ইঞ্চি রাস্তায় বাতাসের বিস্তর ভারি ভারি অণু তাকে ঠেলে যেতে হয়। এ কিন্তু ভিড় ঠেলে যাওয়া নয় ভিড় ভেদ করে যাওয়া । পরমাণু বলতে বোঝায় একটি কেন্দ্রবস্তু আর তাকে ঘিরে দৌড়-খাওয়া ইলেক্ট্রনের দল । এদের পাহারার ভিতর দিয়ে যেতে প্রচণ্ড বেগের জোর চাই। সেই জোর আছে হেলিয়ম পরমাণুর । সে আপন মণ্ডলী নিয়ে অন্ত্য মণ্ডলীর ভিতর দিয়ে চলে যায় । হেলিয়ম পরমাণু অন্য পরমাণুর ভিতর দিয়ে যেতে যেতে লোকসান ঘটাতে থাকে। কোনো পরমাণুর দিলে হয়তে একটা ইলেক্ট্রন সরিয়ে, ক্রমে দুটো তিনটে গেল হয়তো তার খসে, তখন ইলেক্ট্রনগুলো বাধন-ছোড়া হয়ে ঘুরে বেড়ায় । কিন্তু বেশিক্ষণ নয়। অন্ত পরমাণুদের সঙ্গে জোড় বাধে। যে পরমাণু ইলেকট্রন হারিয়েছে তাকে লাগে পজেটিভ বৈদ্যুতের চার্জ আর যে পরমাণু ছাড়া-ইলেক্ট্রনটাকে ধরেছে তার চার্জ নেগেটিভ বৈদ্যুতের। তারা যদি পরস্পরের যথেষ্ট কাছাকাছি অাসে তাহলে আবার হিসেব সমান করে নেয় । অসাম্য মুচলে তখন বৈদ্যুত ধমের চাঞ্চল্য শান্ত হয়ে যায়। স্বভাবত হেলিয়ম পরমাণুর থাকে দুটো ইলেকট্রন। কিন্তু রেডিয়ম থেকে নিঃস্থত হয়ে সে যখন অন্য বস্তুর মধ্যে দিয়ে ছুটতে থাকে তখনকার মতো তার সঙ্গী তুটো যায় ছিন্ন হয়ে । অবশেষে উপদ্রবের অন্ত হোলে ছুটে ইলেকট্রনদের মধ্যে থেকে অভাব পূরণ করে নিয়ে স্বধমে ফিরে আসে।