পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌরজগৎ 今○。 দিকে চলছে, না, তুই একসঙ্গে ঘটছে সে সম্বন্ধে বিজ্ঞানীদের মতের মিল হয়নি । কয়েক বৎসর হোলো যে বিকিরণ শক্তি ধরা পড়েছে যার নাম দেওয়া হয়েছে কসমিক রশ্মি সেটার উদ্ভব না পুথিবীতে না সূর্যে, এমন কি, না নক্ষত্ৰলোকে । নক্ষত্র-পরপারের কোনো আকাশ হতে বিশ্বস্বষ্টির ভাঙন কিংবা গড়ন থেকে সে বেরিয়ে পড়েছে এই রকম আন্দাজ করা হয়েছে । যাই হোক বিশ্বস্বষ্টি ব্যাপারের এই যে সব বিপরীত বাতবিহ-ইশারা আসছে বিজ্ঞানীদের পরীক্ষাগারে সেটা হয়তো কোনো একটা জটিল গণনার ব্যাপারে এসে ঠেকবে । কিন্তু আমরা তো বিজ্ঞানী নই, বুঝতে পারিনে হঠাৎ অঙ্কের আরম্ভ হয় কোথা থেকে, একেবারে শেষই বা হয় কোনখানে। সম্পূর্ণ-সংঘটিত বিশ্বকে নিয়ে হঠাৎ কালের আরম্ভ হোলে। আর সদ্যোলুপ্ত বিশ্বের সঙ্গে কালের সম্পূর্ণ অস্ত হবে আমাদের বুদ্ধিতে এর কিনারা পাইনে । বিজ্ঞানী বলবেন, বুদ্ধির কথা এখানে আসছে না, এ হোলো গণনার কথা ; সে গণনা বত মান ঘটনা-ধারার উপরে প্রতিষ্ঠিত—এর আদি অস্তে যদি .অন্ধকার দেখি তাহলে উপায় নেই ।