চতুর্বর্গের ফল বিচার
তো দূরের কথা। তাড়াতাড়ি হিত করতে গেলে রোগীর যে-দাঁতে ব্যথা নেই সেটা তুলে দেবার মতো বিপরীত না হয়। এখানেও পথ দেখায় প্রেম। যাকে আনন্দ দিতে পারা গেল, তার হিত করা হল সে বিষয়ে কি সন্দেহ থাকতে পারে। এই প্রথম ধাপে পা দিলে দ্বিতীয় ধাপ তখন আপনিই দেখা দেবে। আনন্দ দিলেই তো আনন্দ পাওয়া যায়। তার মানে কল্যাণ করতে গিয়ে কল্যাণ লাভ হয়। ঊর্ধ্বগতিই কল্যাণের লক্ষণ, তাই এ বর্গের মাথায় গীতার কথা তুলে দেওয়া হয়েছে—কল্যাণকারীর দুর্গতি হতে পারে না।
খেলায় জিতের চেহারাটা কী, এখন কতক বেরিয়ে পড়েছে। পরস্পরের সঙ্গে প্রেমের যোগের আনন্দে ভরপুর হয়ে, বড়ো হতে হতে যখন ব্যক্তিত্বের আবরণ স্বচ্ছ সূক্ষ্ম হয়ে যাবে, তার ভিতরকার আবর্জনার জড়তা খসে যাবে, তখন আনন্দলোকে উঠে যাবার আর বাধা থাকবে না, সেখানকার আলো ভিতরে বাইরে সমান প্রকাশ পাবে; তখনকার আবরণ সে বিঘ্ন নয়,—“আমার এই স্বস্থান, এতে ফিরে এসে আনন্দের প্রেম-রূপ লাভ করলাম”—এই চৈতন্য সজাগ রাখার জন্যে যেটুকু ব্যবধান নইলে নয়, তাই খেলার শেষ পর্যন্ত থাকবে।
USSR-এর মোক্ষলাভ সম্বন্ধে অবস্থা আমাদের বিচারের বিষয় ছিল। তাঁদের নিজেদের মধ্যে সদ্ভাবের পরিচয় তো পাওয়া গেছে; সংঘের ঠাটটাও তাঁরা বেশ গড়ে তুলেছেন। তার মধ্যে বিদেহী প্রেমের সুর উঠেছে কিনা, সে খবর কে দিতে পারে।
যে সব পাশ্চাত্ত্য পর্যটকেরা রুশে যাতায়াত ক’রে ঝুড়িঝুড়ি মন্তব্য ছড়িয়ে বেড়ায়, তারা তো সব ধনলোভী, প্রেমের লক্ষণ তারা কী জানে। তারাই তো প্রণয়কে নিজের যথাস্থান থেকে তুলে দিয়ে, নভেলে নাটকে সিনেমায় তাকে মানবজীবনের একমাত্র সম্বল বলে ঢাক-পেটানোর
১৮০