বিশ্বাস-বিজয় । i 为臀 为 মহেন্দ্র বাবু বলিলেন, “মহাশয়! আমি কি প্রকারে ঈদৃশ কথা বলিব। তাহা হইলে আমাকে সমাজচ্যত হইতে হুইবে । এ কথা মুখে আনিলে কেহ আমার সহিত আঙ্কার ব্যবহার করিবে না। কোন প্রকারেই পারিব না ; বরণ প্রাণত্যাগ করিব ; অপমান অপেক্ষা মৃত্যুও শ্ৰেয়ঃকপ।” আচৰ্য্য কহিলেন, “ মহাশয়! আমি আপনার নিমিত্ত অত্যন্ত দুঃখিত হইতেছি। আপনকার মঙ্গল চেষ্টাই আমার আন্তরিক ইচ্ছা, কিন্তু অসাধ্য বোধ হয়। মহাশয়! আপনি জানেন, এই শোচনীয় বিচ্ছেদ হিন্দুধৰ্ম্মেই হইতেছুে, প্রেমাত্মক খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মে নয়। আমার পুত্র খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া নাস্তিক হইলে বা মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিলে, আমার ধর্মের শিক্ষামতে সেই পুপ্রকে প্রেম ও পালন করা ও র্তাহার প্রতি কোমল ব্যবহার করা ও র্তাহাকে অতি ভদ্র ও সদুপায়ে পবিত্র পথে প্রত্যানয়ন করিতে যত্নবান হওয়া আমার কর্তব্য । কিন্তু তাদৃশ ঘটনায় আপনাদের ধৰ্ম্মের এই উপদেশ ভ্রান্ত পুপ্রকে পরিত্যাগ কর । তাহাকে গৃহে স্থান দান করিও না । অপত্য স্নেহ ত্যাগ কর।” মহাশয়! এক্ষণে আপনাকেই জিজ্ঞাসা করি, আপনি অন্তঃকরণের সহিত বলুন দেখি, এই দুই ধর্মের মধ্যে কোন ধৰ্ম্ম ন্যায় ও ক্ষমাগুণসম্পন্ন ?” এই কথা শুনিয়া মহেন্দ্র বাবুর অন্তঃকরণ আদ্র হইল । তাহাতে ক্ৰন্দন করিতে ২ কছিলেন, “এই দুঃখ-আমার কপাল্পে, লেখা ছিল, অবশ্যই সহ করিতে হইবে” এই
