পাতা:বিশ্বাস বিজয়.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

' ' e বিশ্বাস-বিঞ্জয় । যুবক প্রসমের প্রতি দৃষ্টিপাত হুইবামাত্র, জনতার মধ্যে কোলাহল উপস্থিত হইল । :

  • আমরা অবশ্য জিতিব, ঐ"দেখ, বালককে কেমন দুর্বল ও মান দেখাইতেছে। পাদরিরা অবশ্যই উহাকে দৃঢ়ৰূপে ৰুদ্ধ করিয়াছিল । আজি উহাদের দুর্ব্যবহার প্রকাশিত হইবে।” চতুৰ্দ্দিকেই এই কথা কর্ণগোচর হইতে লাগিল । নিয়মিত ৰূপে বিচার আরম্ভ হইল। আtচাৰ্য্য প্রসন্নকে ভুলাইয়া আনেন নাই, প্রসন্নের নিতান্ত অনুরোধেই উাহাকে স্বগৃহে স্থান দিয়াছিলেন, ইহা শীঘ্রই প্রমাণিত হইল। মহেন্দ্র বাবু উছা সত্য বলিয়া স্বীকার করিলেন ; কিন্তু তাহার পুঞ্জ এক্ষণে বয়ঃপ্রাপ্ত হন নাই, সুতরা তাহাকে আপনার রক্ষণাবেক্ষণে রাখা উচিত এই আপত্তি করিলেন । বিচারক শিরশচালন পূর্বক কহিলেন, “না মহাশয়! হিন্দু ব্যবস্থানুসারে, অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া দূরে থাকুক, প্রত্যুত আমার বোধে ইনি ইংরাজি ব্যবস্থানুসারেও প্রাপ্ত বয়স্ক হইয়াছেন । যাহা হউক, বয়ঃপ্রাপ্ত না হওয়ার কোন প্রমাণ প্রদর্শন করিতে পারেন?” মহেন্দ্র বাৰু তৎক্ষণাৎ প্রসমের ঠিকুজি উপস্থিত করিয়া বলিলেন “ এই ঠিকুজি অনুসারে এই ক্ষণে প্রসন্নের পোনের বৎসর নয় মাস বয়স হইয়াছে, বোধ হইল।” প্রসন্ন উহা দেখিবামাত্র, উঠিয়া, অকপট ক্ষোভ পূর্বক বলিলেন, “পিতঃ ! উহা যে আমার ঠিকুজি, আপনি এমন কথা বলিবেন না।” পরে বিচারকর্তার প্রতি দৃষ্টি করিয়া বলিলেন, “মহাশয় কখনো আমার ঠিকুজি নহে ।” বিচারক দেখিবামাত্র, রুত্রিম অনুভব করিয়া