পাতা:বিশ্বাস বিজয়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ বিশ্বাস-বিজয় । হউক, উছাদের অলৌকিক শক্তি ও অত্যন্ত সতর্কভাব থাকিলেও সগর রাজা একোনশত অশ্বমেধ যজ্ঞে ক্লতকাৰ্য্য হইয়াছিলেন । অবশেষে তাহার মন অাশাতে পরিপূর্ণ হুইল । আমি নিশ্চয়ই কুতকার্য্য হইব, এই বিশ্বাসসম্পন্ন হইয়া শত যজ্ঞে প্ররক্ত হইলেন । হায়! কি দুঃখের বিষয়! “কল্য এই অশ্ব বলিদান করিয়া স্বৰ্গরাজ্যের অধীশ্বর হইব, কিন্তু পাছে ইহাকে কেহ হরণ করে,” রাজা এই ক্লেশকর চিন্তায় ব্যাকুল হইয় নির্জন বন মধ্যে অশ্বরক্ষা করিতেছেন, এমন সময়ে র্তাহাকে নিরাশ ও বিস্মিত করিয়া যেন কোন মায়াশক্তিতে সেই অশ্ব অদৃশ্য হইল। ইন্দ্রই যে অশ্ব অপহরণ করিয়াছেন ইহাতে আর কোন সন্দেহই হইল না । মনোরথ বিফল হওয়াতে রাজা ইন্দ্রকে অনেক শাপ দিলেন ও নিন্দা করিলেন । * সেই ঘোটকটী অবশ্যই অনুসন্ধান করিতে হইবে । উহার পরিবর্তে অন্য ঘোটক দিলে হুইবে না। কিন্তু কোথায় পাওয়া যাইবে তাহা স্থির করাই কঠিন । যাহা হউক, পরাক্রান্ত নরপাল কিছুতেই নিরস্ত হইলেন না। তিনি আপনার ষাটি হাজার পুএকে উপযুক্ত বিবেচনা করিয়া অশ্ব অন্বেষণে নিযুক্ত করিলেন । যুবকেরা উৎসুক চিত্তে পিতৃভক্তি সহকারে অপহৃত অশ্ব অন্বেষণে প্রবৃত্ত হইলেন । সেই উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্তে র্তাহারা দলে ২ বিভক্ত হইয়া অনেক দূর ভ্রমণ করিলেন, জগতের কোন স্থানই অন্বেয়ণ করিতে আর অবশিষ্ট রছিল না। সাগর দ্বীপের যে স্থানে কপিলমুনির মন্দির