পাতা:বিশ্বাস বিজয়.pdf/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१ & १ বিশ্বাস-বিপ্লাষ । অবধি যখন তোমরা আমাকে নিদ্রিত বোধ করিতে, তখন আমি তাহার নিকট এই প্রার্থনা করিতাম, যে হে ভ্রাণকর্তা, যদি তোমার ইচ্ছ। হয়, তবে আমাকেও ত্ৰাণ কর।” : এই কথা বলিয়া, তিনি কিয়ৎক্ষণ নিস্তব্ধ হইলেন। অনন্তর ব্যগ্রতা পূর্বক বলিলেন, “ হুঁ, আমি তাহাতে বিশ্বাস করি, এবং তিনি আমার প্রতি যে উদার প্রেম প্রকাশ করিয়াছেন, তজ্জন্য র্তাহাকে প্রীতি করি।” সৌদামিনী রদ্ধার সহসা ঈদৃশ স্বীকারের কথা শুনিয়া, বিস্মিত ও চর্মগুরুত হইলেন । ঐ সবল কথা তাহার ভয়ানক বোধ হইল । তিনি ভাবিলেন, যে ঠাকুরমাক্ষে এত ভক্তি করিয়া থাকি, তিনিই এমন কথা বলিলেন । তাদৃশ কথা অধিক শুনিতে, র্তাহার শঙ্কা হইল? তিনি বলিলেন, “ঠাকুরমা আর এখন অধিক কথা কহিবেন না। আপনি অত্যন্ত দুৰ্বল হইয়াছেন, কিছুকাল নিদ্রা যাইতে চেষ্টা কৰুন ।” এই কথা বলিয়া, সৌদামিনী সন্তানকে সান্তন করিতে গেলেন। শিশুটা তৎকালে জাগিয়া ক্ৰন্দন করিতেছিল। কিন্তু কামিনী কিয়ংক্ষণ থাকিয়া, জিজ্ঞাসা করিলেন, “ আপনি যে নূতন ধর্মের প্রতি এত শ্রদ্ধা করেন, তদ্বিষয়ে আর কিছু জানিবার উপায় অাছে ? আমি অধিক জানিতে অভিলাষ করি।” 3. রদ্ধা বলিলেন, “আমি তোমাকে অধিক কিছু বলিতে পারি না, কিন্তু পরিবারের মধ্যে যদি কেহ কথন পাঠ করেন, এই অাশয়ে প্রসন্ন অামার নিকট কতক গুলি