পাতা:বিশ্বাস বিজয়.pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২ ৫ ৬ বিশ্বাস-বিঞ্জয় । “ঠাকুরমা! আপনি কি কিছু চান? আমি কি আপনার কিছু উপুকার করিতে পারি?” তিনি মৃদুস্বরে বলিলেন, “ঈশ্বরপুত্র ব্যতীত, এখন আর কেহই আমার কিছু করিতে পারে না। আমাকে সাহায্য ও পরিত্রাণ করিবার নিমিত্ত, আমি র্তাহাকে প্রার্থনা করিতেছিলাম।” তিনি এই কথা এত মদম্বৱে বলিলেন যে, কামিনী ভিন্ন, আর কেহই উহা বুঝিতে পারিলেন না। উহা শুনিবামাত্র, কামিনী মনে : বলিতে লাগিলেন,“ হায়! ঠাকুরমা ত্ৰাণকৰ্ত্তার প্রতি বিশ্বাস করিয়া, যে শান্তিসুখ অনুভব করিতেছেন, যদি আমার এই অধীর অবস্থায় তাহাই পাইতাম।” তিনি অতি দুঃখিত অন্তঃকরণে রদ্ধার নিকট বসিয়া রছিলেন। রদ্ধার অন্তিমকাল উপস্থিত প্রায় হইল। তিনি পুনরায় বলিলেন ; “ হে যীশু খ্ৰীষ্ট! হে ঈশ্বরপুত্র! তুমি আমার পাপের নিমিত্ত আত্মপ্রদান করিয়াছ, এক্ষণে আমাকে স্বর্গলোকে তোমার নিকট স্থানদান কর।” এবার সকলেই উহা শুনিতে পাইলেন । কামিনীও সেই প্রার্থনায় মিলিত হইলেন । তিনি আত্মচিন্তায় এত মম হইয়াছিলেন, যে সকলে বিস্ময়োৎফুল্ললোচনে আপনার প্রতি যে দৃষ্টিপাত করিতেছিলেন, তাহা কিছুই দেখিতে পাইলেন না। যাহা হউক, এই সময়ে পুরোহিত প্রবেশ করাতে তদ্বিষয়ে কোন কথাই হইল না। পুরোহিতেরা প্রবেশ করিবামাত্র, তন্মধ্যে এক জন মন্ত্র পাঠ করিতে লাগিলেন । মহেন্দ্র মাতাকে আস্তে ২ শয্যাহইতে তুলিয়া পাশ্বস্থিত কুশাসনে রাখিলেন। অনস্তুর পুরোহিত রদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে, মরণকালে