পাতা:বিশ্বাস বিজয়.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়। পূর্ব অধ্যায়ে বর্ণিত ঘটনার পরচল্লিশ বৎসরের অধিক সময় অতীত হইয়াছে । এক্ষণে আমরা পাঠকবর্গকে সেই গৃহেই প্রবর্তিত করিতেছি। আহা! উহার অবস্থা কেমন পরিবর্ত হইয়াছে! মহেন্দ্রের বৃদ্ধ পিতা অনেক কাল মানবলীলা সম্বরণ করিয়াছেন। বৃদ্ধের পত্নী তদপেক্ষা ত্রিশ বৎসরের ছোট, তিনি এখনও জীবিত রহিয়াছেন । হিন্দুবিধবোচিত ক্লেশ ব্যতীত বোধ হয়, তিনি শেষ অবস্থা সুখে ও নিৰুদ্বেগচিত্তে যাপন করিতেছেন। সেই বালক মহেন্দ্রের মস্তকে এখানে সেখানে দুই এক গাছি চুল পাকিয়াছে। তিনিই এখন বাটীর কর্তা । পৈত্রিক সম্পত্তি সকল তাহারই অধিকত। মহেন্দ্র বাৰু সেই বিষয়ের উপর নির্ভর করিয়া, বদান্যতা প্রকাশপূর্বক আশ্রিত ও দরিদ্র অনেক গুলি কুটুম্বকে প্রতিপালন করিতেছেন। মহেন্দ্র বাবুর যথাসময়ে বিবাহ হইয়াছিল। তাহার স্ত্রী চারি পুঞ্জ ও এক কন্যা প্রসব করিয়াছেন। তিন পুএ ইতিপূৰ্বেই বিবাহিত হইয়াছে। চতুর্থটা কলেজে লেখা পড়া করে । কন্যাট সুন্দরী ও চতুরা, বয়স ছয় বৎসর এবং বাটীর সকলের আদরের সামগ্রী। মহেন্দ্র বাবুর স্বভাব প্রায় তাহার পিতার মত ছিল । তিনি পিতার ন্যায় কঠোরব্রত ছিলেন, এব° সেই রদ্ধ ব্রাহ্মণের ন্যায় হিন্দুধৰ্ম্মে উল্লিখিত নিয়ম ও আচার গুলির প্রতি তাহারও প্রগাঢ় ভক্তি ছিল। অন্যান্য বিষয়ে হউক আর না হউক, পৈত্রিক ধর্মের প্রতি ভক্তিতে