এজিদ পুনরায় আঘাত করিলেন। ওমর আলী সে আঘাত উড়াইয়া দিয়া বলিলেন,—“আর কেন? তোমার বাহুবল, অস্ত্রবল সকলই দেখিলাম।”
এজিদ মহাক্রোধে পুনরায় আঘাত করিলেন। ওমর আলী সে আঘাতও অসিতে উড়াইলেন। ক্রমাগত এজিদের আঘাত ও ওমর আলীর আত্মরক্ষা!
এজিদ বলিলেন,—“ওহে তুমি যদি মোহাম্মদ হানিফা না হও, তবে যথার্থ বল তুমি কে?”
“এখন পরিচয়ের প্রয়োজন নাই। তোমার আর কি ক্ষমতা আছে দেখাও।”
“ক্ষমতা ত দেখাইব; কিন্তু দেখিবে কে? আমার একটু সন্দেহ হইতেছে, তাহাতেই বিলম্ব।”
“রণক্ষেত্রে সন্দেহ কি? হাতে অস্ত্র থাকিতে মুখে কথা কেন?”
“তোমার অস্ত্রে ধার আছে কিনা, দেখিলাম না। কিন্তু কথার ধারে গায়ে আগুন জ্বালিয়া দিয়ছি।”
“বাক্চাতুরী ছাড়, এখন আঘাত কর।”
এজিদ ক্রমে তরবারি, তীর, বর্শা, যাহা কিছু তাঁহার আয়ত্তে ছিল তাহার দ্বারা আঘাত করিলেন। কিন্তু ওমর আলী অচল পাষাণ প্রতিমাবৎ দণ্ডায়মান—এজিদ মহা লজ্জিত।
এজিদ বলিলেন, “আমার সন্দেহ ঘুচিল, তুমিই মোহাম্মদ হানিফা! হানিফা!! গতকল্য তোমার যুদ্ধ দেখিয়াছি, আজিও দেখিলাম। ধন্য তোমার বাহুবল! এত অস্ত্র নিক্ষেপ করিলাম, কিছুই করিতে পারিলাম! তোমার সহ্যগুণ—”
ওমর আলী হাসিয়া বলিলেন,—“এজিদ! তোমার আর কি ক্ষমতা আছে, দেখাও। অস্ত্র থাকিতে আজ আমি নিরস্ত্র, বল থাকিতে দুর্ব্বল। কি পরিতাপ! আমার হাতে পড়িয়াও আজ তুমি বাঁচিয়া গেলে।”
“ওরে পাষণ্ড! সাধ্য থাকিতে অসাধ্য কি? ভেকে কি কখনও অহিমস্তকে আঘাত করে। শৃগালের কি ক্ষমতা যে, শার্দ্দূলের গায়ে