পাতা:বীথিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাথিক অগ্নিবন্যা বিস্তারিয়া যে প্রলয় আনে মহাকাল, চন্দ্র সূৰ্য্য লুপ্ত করে আবর্তে ঘূর্ণিত জটাজাল, দিব্য দীপ্তিচ্ছটায় সে সাজে, বজের ঝঞ্জনামন্দে বক্ষে তা'র রুদ্রবীণা বাজে । যে বিশ্বে বেদন হানে তাহারি দাহনে করে তা’র পবিত্র সৎকার । জীর্ণ জগতের ভস্ম যুগান্তের প্রচণ্ড নিঃশ্বাসে লুপ্ত হয় ঝঙ্কার বাতাসে । অবশেষে তপস্বীর তপস্যা-বহ্নির শিখা হতে নব হৃষ্টি উঠে আসে নিরঞ্জন নবীন আলোতে । দানব বিলুপ্তি আনে, আঁধারের পঙ্কিল বুদ্ধদে নিখিলের স্বষ্টি দেয় মুদে । কণ্ঠ দেয় রুদ্ধ করি’, বাণী হতে ছিন্ন করে সুর, ভাষা হতে অর্থ করে দূর । উদয়-দিগন্তমুখে চাপা দেয় ঘন কালো আঁধি, প্রেমেরে সে ফেলে বাধি’ > ዓ >