R বীরবিলের হালখাতা অট্টালিকা একেবারে ধরাশায়ী হবে, সে আশঙ্কা করবার কোনো কারণ নেই। ধূলিসাৎ হবে শুধু তার দৰ্পের চূড়া, আর তার ঠেকে-দিয়ে-রাখা প্ৰাচীন অংশ, আর তার গোজামিলন-দিয়ে-তৈরি নতুন অংশ। এতে মানবজাতির লাভ বৈ লোকসান নেই। তা ছাড়া এই যুদ্ধের ফলে ইউরোপের একটি মহা লাভ হবে- তার এই চৈতন্য হবে যে, সে এখনো পুরোপুরি সভ্য হয় নি। বিজ্ঞানের বলে বলীয়ান হয়ে ইউরোপ আত্মজ্ঞান হারাতে বসেছিল; এই যুদ্ধের ফলে সে আবার আত্মপরিচয় লাভ করবে। কথাটা একটু বুঝিয়ে বলা দরকার। লেখিকা বলেছেন যে, যুদ্ধরূপ মানসিক প্লেগ ইউরোপে আছে, এশিয়ায় নেই। এশিয়ার লোকের যে মনে পাপ নেই সে কথা বলা চলে না ; কেননা, লেখিকাই দেখিয়েছেন যে, কী প্ৰাচ্য কী পাশ্চাত্য উভয় শান্ত্রিই যুদ্ধ সম্বন্ধে একই মন্ত্র পুরুষজাতির কানে দিয়েছেন। তবে এশিয়া যে শান্ত আর ইউরোপ যে দুৰ্দান্ত, তার কারণ মন ছাড়া অন্যত্র খুঁজতে হবে। প্ৰাচ্যদর্শন শুধু মন্ত্র দিতে পারে, কিন্তু পাশ্চাত্য-বিজ্ঞান শুধু মন্ত্র নয়, সেই মন্ত্রের সাধনোপযোগী যন্ত্রও মানুষের হাতে দিয়েছে। বিজ্ঞান মানুষের জন্য শুধু শাস্ত্র নয়, অন্ত্রশস্ত্রও গড়ে দিয়েছে। সে অন্ত্রের সাহায্যে মানুষে পঞ্চভুতকে নিজের বশীভুত করেছে, কিন্তু নিজেকে বশ করতে পারে নি। সুতরাং অনেকে মনে করতেন যে, বিজ্ঞান হয়তো অমানুষের হাতে খন্তা দিয়েছে। যদি এ যুদ্ধে প্ৰমাণ হয়ে যায় যে ঘটনাও তাই, তা হলে ইউরোপীয়েরা মানুষ হতে চেষ্টা করবে। কারণ ও খন্তা কেউ ত্যাগ করতে পারবে না ; শুধু সেটিকে ভবিষ্যতে ভাইয়ের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার না করে জড়প্রকৃতির শাসনের যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে- অর্থাৎ প্ৰলয় নয়, সৃষ্টির কাজে তা নিয়োজিত হবে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ করে ইউরোপের নাম উল্লেখ করবার অর্থ এই যে, এশিয়াবাসীদের কতদূর মনুষ্যত্ব আছে না-আছে-- এ বৈজ্ঞানিক যুগে তার পরীক্ষা হয় নি। ও খন্ত হাতে পড়লে বোঝা যেত যে আমরা বাদর কি মানুষ । এই যুদ্ধের বেদনা থেকে ইউরোপের ন্যায়-বুদ্ধি যে জাগ্রত হয়ে উঠবে, তার আর সন্দেহ নেই ; কেননা, ইতিমধ্যেই সে দেশে মানুষে ত্ৰাহি-মধুসুদন বলে চীৎকার করছে, প্ৰহারেণ-ধনঞ্জয় বলে নয়। কিন্তু পুরুষমানুষ যে কখনো মানুষ হবে- এ বিশ্বাস লেখিকার নেই। তিনি পুরুষকে ইতিহাসের অতিবিস্তৃত ক্ষেত্রে দাড় করিয়ে দেখিয়েছেন যে, সে কত ক্ষুদ্র। এবং ঐ রূপে তার ক্ষুদ্রত্ব প্ৰমাণ করে প্রস্তাব করেছেন যে, হয় সে স্ত্রীধর্ম অবলম্বন করুক, নয়। তার শাসনের ভার স্ত্রীজাতির হাতে দেওয়া হোক। এ স্থলে জিজ্ঞাস্য এই LLS D uuu uLOBuL uuBBuBB BBB LLLBuLLLDK LBLBuL uuuLS GBGS Y GL
পাতা:বীরবলের হালখাতা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১২০
অবয়ব