বৌদ্ধধর্মে ভক্তিবাদ
ডাক্তার রিচার্ড্ দীর্ঘকাল চীনদেশে বাস করিতেছেন। তিনি খৃস্টান মিশনারি।
তিনি লিখিতেছেন, একবার তিনি কার্যবশত ন্যান্কিং শহরে গিয়াছিলেন। সেখানে একটি বৌদ্ধশাস্ত্রপ্রকাশ-সভা আছে। টাইপিং বিপ্লবের সময় যে-সকল গ্রন্থ নষ্ট হইয়াছে তাহাই পুনরুদ্ধার করা এই সভার উদ্দেশ্য।
এই সভার প্রধান উদ্যোগী যিনি তাঁহার নাম য়াঙ্ বেন্ হুই। তিনি চীনের রাজপ্রতিনিধির অনুচররূপে দীর্ঘকাল য়ুরোপে যাপন করিয়াছেন। কন্ফুসীয় শাস্ত্র-শিক্ষায় তিনি উচ্চ-উপাধি-ধারী।
ডাক্তার রিচার্ড্ তাঁহাকে যখন জিজ্ঞাসা করিলেন ‘আপনি কন্ফুসীয় উপাধি লইয়া কী করিয়া বৌদ্ধ হইলেন’, তিনি উত্তর করিলেন, আপনি ‘মিশনরি’ হইয়া আমাকে এমন প্রশ্ন করিলেন, ইহাতে আমি বিস্মিত হইতেছি। আপনি তো জানেন, কেবলমাত্র সাংসারিক ব্যাপারের প্রতিই কন্ফুসীয় ধর্মের লক্ষ— যাহা সংসারের অতীত তাহার প্রতি তাহার দৃষ্টি নাই।’ রিচার্ড্ সাহেব কহিলেন, ‘যাহা সংসারের অতিবর্তী, তাহার সম্বন্ধে মানবমনের যে প্রশ্ন, বৌদ্ধধর্মে তাহার কি কোনো সত্য মীমাংসা আছে?’ তিনি কহিলেন,
২৪