{ } } গারে উপস্থিত হইলেন। আসিয়াই দেখিলেন প্রাসাদভিত্তিতে এক চিত্ৰপট লম্বমান আছে। পটখানি দৃষ্ট মাত্রেই ভিত্তি হইতে উন্মোচন পুৰ্ব্বক করে করিয়াই চমৎকত ও চকিত হইয় এককালে এমন ব্যক্তিব্যস্ত, ভয়যুক্ত ও ভাবনাকুল হইলেন যে, বামরের বৃশ্চিকদংশনই বা কি ? বালকের ভূতের ভয়ই বা কোথায়? এমন কি কুঞ্জকামিনীর কলঙ্ক তয়ও সেরূপ নয় । পাপীর পাগকর্ণ করিতেই প্রথমতঃ এপ্রকার পাষাণ-হৃদয় হয় যে, স্বত কেন দুষ্কৰ্ম্ম করুক না কিছুতেই অৰ্হতাপ করে না কিন্তু কোন ক্রমে এক বার স্মরণ হইলে আর নিস্তায় থাকে না। রাজা, কি অশনে, কি উপবেশনে, কি শয়নে কিছুতেই সুখী না ইয়। রাঙ্গীর নিকট গিয়া দেখিলেন তিনি সুখে নিজ যাইতেছেন। অন্য দিন যেমন তুচ্ছ তাচ্ছল্য করিয়া নিদ্রাভঙ্গ করিতেন, সে দিবস তেমন সাহস হইল না, চরণে হস্ত ন্যস্ত করিয়া রোদন করিতে লাগিলেন। রাজপত্নী পতির করম্পশে জাগরিত হইয়া ঐরূপ দশ মে মামিনী হইয় কহিলেন নাথ ! আজি এ আবার কি ভাব দেখিতেছি ! কোন বিলাসিনী কি তোমার অপমান করিয়াছে? তুমি ভূপাল তাহে স্বেচ্ছাচারী তোমার আবার ক্লিসের অভাব ? অনবরত নয়নধারায় হৃদয় যে একবারে ভাঙ্কিয়া যাইতেছে ? আহ ! এখন ভেংমার সেই প্রধান মন্ত্রি কাম কোথায় রহিল ? যাহার মন্ত্রণ জালে বন্ধ হইয়া পত্তি ব্রতার মাধ্যত্রত ভঙ্গ করণে লেশ মাত্রও অধৰ্ম্ম বোধ করিত্তে না বরং রাজকাৰ্য পরিত্যাগ পুৰ্ব্বক কেবল তাহাৰই
