পাতা:বুদ্ধিমালা - প্রথম ভাগ.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| 88 | মতি হয় ”। তখন সখীগণ আপনং স্থানে পুস্থান করি, লেন, এবং বুদ্ধিমালাও বৃদ্ধমহিষীর সহিত সাক্ষাৎ করিতে গমন করিলেন । এ দিকে দিনমণি লোহিত বর্ণ ধারণ পূৰ্ব্বক অস্তাচলচুড়াৰলম্বী হইলে কুমুদিনীগণ ঈষৎ হাস্য অস্যে কলানিধির আগমন প্রতীক্ষা করিতে লাগিল । তদনন্তর রজনী সময়ে রাজা ও রাণী শয়নাগারে উপনীত হইয় নানাপ্রকার প্রণয়tলাপদ্বারা উভয়ে উভয়কে পরিতৃপ্ত করিলেন। পরন্তু রাজা সমাদর পূর্বক প্রেয়সীকে কহিলেন “হে চারুশীলে ! তোমার বাক্যের অভিপ্রায়াতুসারে অনেক বিবেচনা করিয়া দেখিলাম, সংসারে যাহা কিছু ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম বলিয়া প্রচলিত আছে, তাহার অধিকাংশই অপ্রকৃত ; কিন্তু এ অতি আশ্চৰ্য্য যে, এই ভারতবর্যের সীমা অতি বিস্ত ত, ইহাতে অগণ্য মহামহা পণ্ডিত মুছেন, অথচ ধৰ্ম্মরথা। এমত অপরিস্কত, ইহার কারণ কি? ” তথন রাণী সহস্য বদনে কহিলেন, “ প্রিয়বল্লভ ! ধর্মের সভাপথ প্রকৃত জ্ঞানীর উপদেশ ভিন্ন শাস্ত্র আঁধায়ন করিলে জনা যায় না, তাহতে কেবল অপভাস মাত্র পাওয়া যায় ; কেন না কোন ভাব হৃদয়ে উদয় হইলে সৰ্ব্বতোভাবে প্রকাশ করা যায় ন', এবং ষােহ রসনাগ্রে আগত হয়, তাহাও অবিকল রচনা করা অতি স্থঙ্কর । সুতরাং জ্ঞানীগণ জ্ঞান-প্রভাবে যে২ ভােব অনুভব করিয়াছেন, তাহ সম্পূর্ণরূপে লিপিবদ্ধ করিতে পারেন নাই, অধিকন্তু যতদূর ব্যক্ত কলিযুম্বন তাহাও স্থান নিশেষে