পাতা:বুদ্ধিমালা - প্রথম ভাগ.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ to J উপদেশ গ্রহণ করাও কুক্কহব্যাগার, কারণ রাজ্যসম্পদ পরহস্তে সমর্পণ করিয়া গেলে, নানা বিপদ ঘটনার সম্ভাবন, এবং তিনিও যে র্তাহার সেই সুখপ্রম পরিত্যাগ করিয়া আগমন করিবেন তাহাও ঘটবে না, অতএব সেই মহানুভব আচার্ষ্য সন্নিধানে আমি যে সকল ধৰ্ম্মেপিদেশ প্রাপ্ত হইয়াছি তৎসমুদয় আমার অন্তঃকরণে জাজ্বল্যমান রহিয়াছে, অনুমতি হইলে জামুগুৰ্ব্বিক সমস্ত নিবেদন করিতে পারি। তাহীতে যদি মহারাজের অতীষ্টসিদ্ধি না হয়, তবে কিঞ্চিৎ কালবিলম্বে ইভিকর্তব্যতার বিধান করা যাইবেক * । রাজমহিষীর এই সমস্ত বাক্য মনোনিবেশ পূৰ্ব্বক কর্ণগোচর করিয়া রাজা কহিলেন “প্রিয়ে! অদ্য রান্ত্রি প্রায় শেষ হইয়াছে আইস এখন বিশ্রাম করা যাউক, তখন, আগত কল্য রজনীতে তোমার ইচ্ছামতই কাৰ্য্য করা যাইরেক ” । ইহা বলিয়। রাজা শষ্যাশায়ী হইলেন, এবং রাজ্ঞীও অগত্য স্বামীর অম্লসরণ করিলেন। কিন্তু রাজার শয়ন মাত্র হইল; সে রজনীতে তিনি নিদ্রার মনোহর মূৰ্ত্তির সহিত সাক্ষাৎ লাভ করিতে পারিলেন না , কেবল অপকূ-বুদ্ধি-সুলভ কতকগুলি কুতকে আক্রান্ত হইয়া ভাবিতে লাগিলেন “কি আশ্চৰ্য্য ! এরূপ সাহসিক। স্ত্রী ত কখন নয়ন গোচর করি নাই, এ পতিকে জ্ঞানোপদেশ প্রদানে উদ্যত । অতি অল্পকাল পুস্তক পাঠ করিয়া সত্যসত্যই কি জ্ঞানশিক্ষাদানের ক্ষমতা প্রাপ্ত হইয়াছে ? না, ইহা কেবল ইহার প্রমাদ বাক্য ? কিছুই ভ বুঝিতে পারি না।