পাতা:বুদ্ধের জীবন ও বাণী.djvu/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
শাক্যবংশ ও শাক্যদেশ

সাধারণতঃ রাজা বলিতে আমরা যাহা বুঝি তিনি তেমন সর্ব্বশক্তিমান্‌ ভূপতি ছিলেন না। সগোত্রদের মধ্যে প্রধান ছিলেন বলিয়া, তিনি তাহাদের নায়ক নির্ব্বাচিত হইয়াছিলেন। রাজপদ তখন বংশগত ছিল না; শাক্যেরা তাহাদের নির্ব্বাচিত নায়ককে “রাজা” বলিয়া সম্বোধন করিত।

 রাজ্যসংক্রান্ত যাবতীয় কার্য্যের সহিত দেশের যুবা বৃদ্ধ সকলেরই যোগ ছিল। রাজকার্য্যপরিচালনার জন্য কপিলবাস্তু নগরে “সন্থাগার”নামক একটি বিচারশালা ছিল; তথায় সর্ব্বজন সমক্ষে রাজা বা নির্ব্বাচিত দেশনায়ক সাধারণ প্রশ্নসমূহের মীমাংসা করিতেন। একমাত্র রাজধানীতে নহে, প্রধান প্রধান নগরেও “সন্থাগার” থাকিত। পল্লীবাসীরাও নিজদের ছোটবড় প্রশ্নগুলি প্রকাশ্য সভায় মীমাংসা করিত। আম, কাঁটাল, গুবাক, নারিকেলের বাগানে খোলা জায়গায় পল্লীবাসীদের বৈঠক বসিত।

 শাক্যেরা ক্ষত্রিয় হইলেও কৃষি ও পশুপালনই তাহাদের প্রধান উপজীবিকা ছিল। হিমালয়ের অদূরবর্ত্তী সমতল ভূভাগে শস্যক্ষেত্রের পাশে পাশে শাক্যদের ঘরগুলি অবস্থিত ছিল। কুম্ভকার, স্বর্ণকার, সুত্রধর প্রভৃতি শিল্পীদের বাসের জন্য স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র গ্রাম নির্দ্দিষ্ট থাকিত। সুবিস্তৃত বনভাগের দ্বারা গ্রামগুলি ব্যবহিত ছিল। কেহ কেহ বলেন, এই সকল অরণ্যে দস্যুরা বাস করিত; কিন্তু তাহাদের উপদ্রবের কোনও বিশ্বাসযোগ্য বিবরণ পাওয়া যায় না। এই সময়কার গ্রামগুলিকে এক একটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বাধীন রাজ্য বলা যাইতে পারে।

 গ্রামবাসীরা সরল সুন্দর জীবন যাপন করিত। কেহ ধনী