পাতা:বৃত্রসংহার - প্রথম খণ্ড (হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়).pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$శీ বৃত্রসংস্থার । তরুণ অরুণ, কিবা মৃদু শশধর, জিনিয়া মৃদুল রশ্মি কানন ভিতর ! শ্রবণ-সুস্নিগ্ধকর মধুর নিস্বন কাননে ঝরিছে নিত্য করিয়া প্লাবন ! মধ্যস্থলে ইন্দ্রপ্রিয়া বৈসে ধীরবেশ ; জলদবরণ পৃষ্ঠে সুনিবিড় কেশ। মুখে আভা ভানু যেন উথলিয়া পড়ে ! গাম্ভীৰ্য্য প্রতিমা বিধি দেহে যেন গড়ে — দেখিয়া স্তিমিস্তনেত্ৰ হইল। ভীষণ ; বাকুশূন্য, শ্রুতিশূন্য, করে দরশন। বিশ্বস্বটি করি, যবে ব্রহ্মা অকস্মাৎ করিলা মানব চিত্তে চৈতন্য প্রভাত, আদিস্থষ্ট সেই প্রাণী নব সুর্য্যোদয় যে ভাবে দেখিলা, দৈত্যে সেই ভাব হয় ; ংজ্ঞা নাই, চিন্তা নাই, নাহি আত্মজ্ঞান, চক্ষুতেই গত যেন চৈতন্য, পরাণ ! প্রহরেক কাল হেন স্তম্ভিত থাকিয়া ; চপলারে জিজ্ঞাসিলা ভাবিয়া চিন্তিয়া— “ পুরন্দর-ভার্ষ্য। শচী এই কি ইন্দ্রাণী ?” চপল কহিলা ৫ এই ত্রিদিবের রাণী।”