পাতা:বৃহদারণ্যকোপনিষদ্‌.pdf/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথমোছধ্যায়ঃ—চতুৰ্থং ব্রাহ্মণম্। Հ85» করিব y ইত্যাদি। প্রবেশ শব্দের যেরূপ অর্থ বল হইল, সেরূপ ন হইলে, ] সৰ্ব্বব্যাপী ও নিরবয়ব আত্মার পক্ষে দিক্‌, দেশ ও কালের সহিত সংযোগ-বিয়েগাত্মক প্রবেশ কখনও উপপন্ন হইতে পারে না । প্রকৃতপক্ষে পরমায়ার অতিরিক্ত যে, আর কেহ দ্রষ্টা আছেন, তাহাও নহে ; কারণ, শ্রুতি বলিতেছেন—“ইহার অতিরিক্ত আর কেহ দ্রষ্ট নাই’, ‘ইঙ্গার অতিরিক্ত আর কেন্ঠ শ্রোতা নাই ইতাদি । এ সব কথা আমরা পূর্বেই বলিয়াছি। বিশেষতঃ জগতের সৃষ্টি, স্থিতি, লয় প্রতিপাদন এব, স্বঃ জগতে ব্রহ্মের প্রবেশবোধক যে সমস্ত শতিবাক্য আছে, সে সমস্তের প্রধান উদ্দেগু হইতেছে—ব্রহ্মকে উপলদ্ধি-গোচর করান । কারণ, প্রতিতে ব্রঙ্গোপলব্ধিই পুরুধার্থ (পুরুষের মুখ্য প্রয়োজন) বলিয়। শত হয়,—“আত্মাকেই জানিবে, ‘সেই ব্রহ্মোপলব্ধির ফলে সৰ্ব্বাত্মক হইয়াছিলেন’, ‘বন্ধবিং পরমাত্মাকে C3 হন’, ‘সেই যে-কেহ পরমাত্মাকে অবগত হন, তিনি ব্রহ্মই চইয়া যান’, ‘আচাৰ্য্যবান পুরুষ ( জিজ্ঞাসু ব্যক্তি ) তাহাকে জানেন’, ‘ক্টাঙ্গর (ব্রহ্মদর্শীর ) সেই পৰ্য্যন্তই ৱিলম্ব’ ইত্যাদি ; এবং তাঙ্গার পর আমাকে যথাযথরুপে অবগত হইয়া পশ্চাৎ আমাতে ( ব্রহ্মে ) প্রবেশ লাভ করেন, "তাগষ্ট ( জ্ঞানই ) সৰ্ব্ববিদ্যার শ্ৰেষ্ঠ, এবং তা হা হইতেই মুক্তিলাভ হইয় থাকে’, ইত্যাদি স্মৃতিশাস্ত্র হইতেও { জানা যায় যে, লহ্মোপলব্ধিই প্রধান পুরুষাৰ্থ বা তাহার সাধন ] । বিশেষতঃ আত্মৈকত্বজ্ঞান-সমুৎপাদনেই যে, স্বষ্টি প্রতিপাদক বাক্যের তাৎপৰ্য্য, তাহা ভেদ দর্শনের নিন্দ হইতেও প্রতিপন্ন হয় । অতএব, স্বস্যঃ জগতে তাহার উপলব্ধিই ‘তাহার প্রবেশ’ বলিয়া কল্পিত হইয়। পাকে । ১২ ‘আ নথাগ্রেভাঃ'–নখের অগ্রভাগ পর্য্যন্ত আত্ম-চৈতন্য অনুভূত হইয়া থাকে। আয়াইবা সেখানে কি প্রকারে প্রবিষ্ট আছেন ? তাঙ্গ বলিতেছেন—জগতে ক্ষুর যেমন ক্ষুরধানে--ফুর যাহাতে রাখা হয়, তাঙ্গর নাম ক্ষুরধান-নাপিতের যন্ত্রীধার। ক্ষুর যেমন সেই ক্ষুরধানের মধ্যে নিবেশিত থাকে, অথবা বিশ্বম্ভর—অগ্নি, জগৎকে ভরণ ( পোষণ } করে বলিয়া অগ্নির নাম বিশ্বম্ভর ; কুলায় अर्थ-नीज़ (বাসস্থান) ; অর্থাৎ অগ্নি যেরূপ বিশ্বম্ভর-কুলায়ে--কাষ্ঠ প্রভৃতির অভ্যস্তরে প্রবিঃ থাকে ; তজ্জন্তই কাষ্ঠঘর্ষণ করিলে তন্মধ্য হইতে অগ্নি প্রকাশ পাইয়া থাকে। ক্ষুর যেমন ক্ষুরধানের একাংশে অবস্থান করে, এবং অগ্নি যেমন কাষ্ঠকে সৰ্ব্বতোভাবে ব্যাপিয়া তন্মধ্যে নিহিত থাকে, তেমনি আত্মাও এই দেহকে সামান্ত-বিশেষভাবে অর্থাৎ আংশিকভাবে ও সৰ্ব্বতোভাবে ব্যাপিয়া তন্মধ্যে অবস্থান করে ; কিন্তু সেই দেহমধ্যে শ্বাস-প্রাণব্যাপার ও দর্শনাদি ক্রিয়ার সহযোগেই আত্মার উপলব্ধি হইয়া