পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v5rv \s PKK: ዓዓዓ এবং মাতার নাম শান্ত দাসী) নামক একজন কায়স্থ ১৮৫১ খৃঃ অব্দে জন্মগ্রহণ করেন; তিনি তরুণ যৌবনেই একান্ত ধৰ্ম্মানুরাগী এবং সাধুচরিত্র বলিয়া খ্যাতি লাভ করেন। ইনি। শৈশব হইতে মনোমোহিনী নামী তাহার এক দূর আত্মীয়াকে ভালবাসিতেন। এই ভালবাসা অর্থ মানসিক পূজা। ইং দুর্গাপ্ৰসাদের মনের নিভৃতে থাকিয়া তাহাকে সমস্ত সাধুকৰ্য্যে প্রেরণা দিত। ইহা এত গুপ্ত ছিল যে বহুদিন পৰ্য্যন্ত মনোমোহিনী নিজেও ইহার অস্তিত্ব জানিতেন না। তাহার ২৪ বৎসর বয়সে তিনি মনোমোহিনীর নিকট প্রত্যহ তিনবার যাইতেন-প্ৰত্যেকবার অতি অল্প সময় থাকিতেন, সকালে ও সন্ধ্যায় তাহাকে প্ৰণাম করিয়া চলিয়া আসিতেন । কিন্তু মধ্যাহে একখানি থালাহাতে র্তাহার দ্বারে দাড়াইলে মনোমোহিনী তঁহাকে অন্নব্যঞ্জন দিতেন, তাহার কিছু তিনি উচ্ছিষ্ট করিয়া দিলে দুৰ্গাপ্ৰসাদ তাহা গৃহে আনিয়া খাইতেন । এই সময়ে দুর্গাপ্ৰসাদ মৌনব্ৰত অবলম্বন করেন। র্তাহার সাধু নিষ্কলঙ্ক জীবনদর্শনে প্রথম প্ৰথম লোকে কিছু বলিত না এবং মনোমোহিনীও এই অদ্ভুত খেয়ালী লোকটির আবদার প্রতিপালন করিতেন। কিন্তু কালক্রমে লোকেরা কানাকানি করিতে লাগিল । তাহার চরিত্রসম্বন্ধে সন্দেহ করিবার কোন কারণই ছিল না-কিন্তু তথাপি লোকেরা বলাবলি করিত, “মনোমোহিনীই বা কিরূপ?” সে উহাকে প্ৰণাম করিতে দেয় কেন এবং তাহার উচ্ছিষ্টই বা খাইতে দেয় কেন ?” হিন্দুরমণীর সন্ত্রমে ঘা পড়িল। পরদিন থালাহন্তে দুর্গাপ্ৰসাদ তাহার দ্বারে উপস্থিত হইলে তিনি অত্যন্ত ভৎসনা করিয়া তাহাকে ফিরাইয়া দিলেন। সেদিন ভ্ৰাতৃবর্গের বহু অনুরোধ ও উপরোধসত্ত্বেও দুর্গাপ্ৰসাদ কোন খাদ্য গ্ৰহণ করিলেন না। দুর্গাপ্ৰসাদের বয়স তখন মাত্র ২৪ বৎসর। ক্রমাগত উপবাস চলিল, আত্মীয়বন্ধুগণ নানাপ্ৰকার উপায় অবলম্বন করিয়া ব্যর্থ হইলেন, দুর্গাপ্রসাদের উপবাসত্ৰত ভাঙ্গিতে পাবিলেন না। নিরুপায় হইয়া তাহারা মনোমোহিনীকে তঁহাদের বাড়ী আসিয়া খাদ্য উচ্ছিষ্ট করিয়া দিতে অনুরোধ করিলেন । বিরক্তির সুরে মনোমোহিনী বলিলেন, “কেউ খেল বা না খেল তাহাতে আমার কি ? আমাকে তোমরা আর ঐ লোকটার জন্য জ্বালাইয়া মারিও না ।” আরও দুই তিন দিন গেল, তাহার ভ্রাতারা নিকপায় হইয়া তাঁহাকে লইয়া তাহদের এক নিকট আত্মীয়ার বাডী গেলেন। সেই আত্মীয়াকে দুর্গাপ্রসাদ অত্যন্ত ভক্তি করিতেন। রাস্তায় বহুবার তাহারা উহাকে খাওয়াইতে চেষ্টা করিয়াছেন, কিন্তু সকল চেষ্টা বিফল হইয়াছে। যেদিন র্তাহারা তাহাকে লইয়া সেই আত্মীয়ার বাড়ীতে পৌছিয়াছেন সেদিন ধবিয়া পূবে দশদিন দুর্গাপ্রসাদ উপবাসী। কিন্তু সেই আত্মীয়া অনেক কাদিয়া-কাটিয়া কিছুতেই দুর্গাপ্রসাদের ধনুৰ্ভঙ্গ পণ টলাইতে পারিলেন না। তাহার ভ্রাতারা তাহাকে বাড়ীতে ফিরাইয়া আনিলেন, তখন চতুৰ্দশ দিবস সাধু-যুবক নিরন্থ উপবাসী, তিনি কঙ্কালসার ও শয্যাশায়ী। যাহার বিশুদ্ধ চরিত্র ও সাধুত্বের প্রতিষ্ঠা সর্বত্র প্রচারিত, এমন নিৰ্ম্মলচরিত্র যুবক না খাইয়া মরিতে বসিয়াছেন—এজন্য প্রতিবাসীদের মন বিগলিত হইল। তাহারা SSTLSS DBBBBBBD DBD DBD DBBD DBBDDDBD DBD DBDDBDD DBBB S সহজিয়া আদর্শ । সাধু দুৰ্গাপ্রসাদ।