পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V»SR বৃহৎ বঙ্গ এখন দেমন হজৰত মহম্মদের বংশধর সৈয়দ” বাঙ্গলায় অনেক দেখা যায়, তখন তাহ। ! এজন্য এদেশে সেই সময়ে একজন সৈয়দের আবির্ভাব মুসলমান সমাজে খুব বড় কথা ছিল। কাজি সৈয়দ হুসেনকে রাজদরবারে প্রবেশ করাইয়া দিলেন, শুধু তাহাঁই নহে, তাহার নিজ কন্যাকে এই যুবকের হস্তে সম্প্রদান করিয়া কৃতাৰ্থ হইলেন। ক্রমে সৈয়দ হুসেন তাহার শৌৰ্য্যবীৰ্য দেখাইয়া গৌড়ে খুব পরাক্রান্ত হইয়া উঠিলেন এবং মুজাফর সাহকে হত্যা করিয়া বাঙ্গলার গদি দখল করিয়া লইলেন। তঁহার বংশগৗরব এবং রাজ্যোচিত নানাগুণে মুগ্ধ হইয়া আমীরগণ এক বাক্যে র্তাহাকে রাজপদে বরণ করিয়া লইলেন । পূৰ্ব্ব নৃপতিকে হত্যা করার পর তিনি যুদ্ধৱীতি অনুসারে গৌড় লুণ্ঠন কবিতে আদেশ করিয়াছিলেন। কিন্তু তাহার সৈন্যেরা তাহার আদেশ লঙ্ঘন করিয়া অতিরিক্ত পরিমাণে লণ্ঠন করিবাব অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইলে তিনি স্বীয় সৈন্যগণের ১২,০০০ লোককে হত্যা কবিয়া লুষ্ঠিত সমস্ত বহুমূল্য সামগ্ৰী আত্মসাৎ করিয়া লইয়াছিলেন । হুসেন সাহ সম্লান্ত ব্যক্তিদের খুব আদব করিতেন, পণ্ডিতদিগকে বৃত্তি দিতেন এবং বহু বিদ্যালয়, চিকিৎসাগাব ও অতিথিশালা স্থাপন করিয়াছিলেন। তিনি আসাম, কামরূপ, ও হিমালয়ের উপত্যক পৰ্য্যন্ত স্বীয় বিজয়ী সৈন্যসহ অভিযান কবিয়ছিলেন, কিন্তু সেই সকল পাৰ্বত্য দেশবাসীকে জয় করিয়া তথা হইতে মধ্যে মধ্যে ধনবাস্ত্র গঠন করিলেও তত্ত্বৰ্পে *- গুলি তাহার অধিকাবভুক্ত করিতে পারেন নাই, বযাগমে তাহাবা তাহাকে অনুসৰণ করিয়া ব্যতিব্যস্ত ও তাড়িত কবিয়া দিয়াছে। হিমালয়ের দক্ষিণ উপত্যকায় তুব্বান দেশ হইতে হুসেন সাহেব পুত্র অনেক লাঞ্ছনা পাইয়া প্রত্যাবৰ্ত্তন কবেন । তিনি পণ্ডিত ও সাধুব্যক্তিদিগকে এতদূব সম্মান করিতেন যে সুপ্ৰসিদ্ধ সাধু কুন্তব উল আলমের সমাধি দেখি বায় জন্য তাহার জন্মতিথিতে প্রতি বৎসর পায়ে হাটিয়া পাণ্ডুয়ায় যাইতেন । হুসেন সাহ হাবিসী ও নিগ্রোদিগের ক্ষমতা একেবাবে খৰ্ব্ব কবেন, তাতারা বাঙ্গলাদেশে খুব পরাক্রান্ত হইয়া উঠিয়াছিলেন। কিন্তু ইহারা প্রায় বিশ্বাসঘাতকতা করিতেন। "সেন সাহের দৃষ্টান্তে আৰ্য্যাবর্তের অপরাপর স্থানের রাজারা ইহাদিগকে রাজ্য হইতে দূৰ করিযী। দেন—ইহারা পরিশেষে “সিদ্ধি” নামে দক্ষিণাত্যে আবার প্রবল পরাক্রান্ত হুইয়। উঠিয়াছিলেন । সৈয়দ হুসেনের দরবারে জোনপুরের বাদসহ সাত হোসেন বেলোললোডি-কর্তৃক আক্রান্ত হইযা আশ্রয় ভিক্ষা করেন। গৌড়েশ্বর এই সম্মানিত ‘অতিথিকে বিশেষভাবে আপ্যায়ন করিয়া তাঁহাকে রাজযোগ্য বৃত্তি নির্দেশ করিয়া দেন। মৃত্যু পৰ্যন্ত সাহ Qጀiርንi•¶ সৈয়দ হুসেনের বৃত্তিভোগী ছিলেন। তাহার মৃত্যুর পর coोहgश्न (qक िगभाधि-गनिद নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন, তাহা এখন সুরক্ষিত অবস্থায় গৌডে আছে। রাজা হইবার পরে তাহার রাজ্ঞী স্বামীর পৃষ্ঠে বেত্ৰাঘাত চিহ্ন দেখিয়া জানিতে পাবিলেন কে ইহা করিয়াছে। সুবুদ্ধি স্নায় মোটের উপর হুসেনকে পিতৃস্নেহে পালন করিয়াছিলেন, ভৃত্যকে দুই এক ঘা বেত মারা তখন একটা ধর্তব্যের মধ্যে গণ্য ছিল না। হুসেন পাই