পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃহৎ বঙ্গ DBDD u u BB DLDDSDDSDD BBD BBDSS DBDDBDB DBDB SHSEA0S BB BDBD BDS ৫০,০০০ পদাতিক, তাহদের হাতে বন্দুক, বর্শা, ধনু, বোমা ইত্যাদি। অস্ত্র ছিল। ইহা ছাড়া ৪০টি কামান ছিল, তাহার মধ্যে অধিকাংশেই ২৪ হইতে ৩২ পাউণ্ড বারুদ ধরিত। এই অসম প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মীরজাফরের সম্পূর্ণ আশ্বাস না পাইলে অগ্রসর হওয়া বাতুলতা। মীরজাফর আশ্বাস দিয়াছিলেন, কিন্তু তেমন আগ্ৰহাতিশয় দেখান নাই ! তারপর নবাবের সৈন্তের নেতা হইয়া যিনি আসিয়াছেন, তিনি যদি প্ৰতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন, তবে ত সৰ্ব্বনাশ । ক্লাইভ ( সবৎজঙ্গ ) তঁহার ২০ জন প্ৰধান কৰ্ম্মচারীকে লইয়া একটা সভা করিলেন । তিনি বলিলেন, “ মীরজাফরের কথার উপর নির্ভর করিয়া নবাবকে আক্রমণ করা-এই পথ খোলা আছে। দ্বিতীয় পথ —আমরা কাটোয়া হইতে অনেক খাদ্যদ্রব্য সংগ্ৰহ করিয়া আনিয়াছি—এখানে অনায়াসে কয়েক মাস প্ৰতীক্ষা করা চলে, ইহার পর বর্ষাশেষে মারহাট্টারা আসিবে, তখন তাহদের সঙ্গে একত্র হইয়া নবাবকে আক্রমণ করা যাইতে পারে।” ২০ জনের মধ্যে ১৩ জন অপেক্ষা করার পক্ষপাতী হইলেন । ৭ জন। তখনই নবাবশিবির আক্রমণ করার পরামর্শ দিলেন। ক্লাইভ কিছু না বলিয়া নিকটস্থ তরুকুঞ্জে যাইয়া গভীর চিন্তায় এক ঘণ্টাকাল নিবিষ্ট ছিলেন। অবশেষে যাহা স্থির করিলেন, তাহা বীরের মত ; এতদূর অগ্রসর হইয়া এখন আর দ্বিধার ভাব ভাল নহে; যে করিয়া হউক যুদ্ধ করিতে হইবে। নদী পার হইয়া তখনই তিনি দূরে—৮০০ গজ দীর্ঘ এবং ৩০০ গজ প্ৰস্থ আমবাগে শিবির স্থাপন করিলেন, এই আমবাগই সুপ্ৰসিদ্ধ পলাশীক্ষেত্ৰ । তিনি তথায় যাইয়া দেখেন নবাবের মান করে যাইবার যে কথা ছিল তিনি সে সঙ্কল্প ত্যাগ করিয়াছেন, তিনিও সৈন্যদল লইয়া অতি নিকটেই আছেন। নবাবের অবস্থা তখন শোচনীয় ; তিনি দেখিলেন যেন তঁহার লোকেরা আর কেহ তাহার নহে। তাহার পরিকরবর্গ নমাজ পড়বার ছলে সকলেই চলিয়া গিয়াছে { এমন কি সেই শিবির এরূপ জনশূন্য যে একটা চোর তথায় ঢুকিয়াছিল। একটি পরিচারককে তিনি ভৎসনা করিয়া বলিলেন, “তোবা কি ভাবিয়াছিস যে আমি এখনই মরিয়াছি ?” এদিকে যুদ্ধ আরম্ভ হইল, মীরমদন ও মোহনলাল সাহসের সহিত যুদ্ধ করিতে লাগিলেন; মোহনলাল ২৫,০০০ সৈন্য লইয়া তুমুল রণোদ্যমে মাতিয়া গেলেন। একটা গোল লাগায় মীরমদন অবসন্ন হইয়া মুমূর্ষু অবস্থায় সিরাজের শিবিরে আনীত হইলেন, তিনি মরিতে মরিতে বলিয়া গেলেন, “নবাব সাহেব, আপনার নিজের লোকই আপনার সর্বনাশ করিতেছে, সকলেই আপনার শত্রু। আমি প্ৰাণ দিয়াও আপনাকে রক্ষা করিতে পারিলাম না।” এই বিপদে সিরাজউদ্দৌলা মীরজাফরকে ডাকাইয়া পাঠাইলেন, দূতের পর দূত গেল, “আসছি” “ষাছি” করিয়া মীরজাফর অনেক বিলম্বে নবাবের নিকট আসিলেন। নবাব তাহার পায়ের নীচে নিজের পাগড়ী ফেলিয়া বহু অনুনয় বিনয় করিলেন, তাহার পূর্বকৃত অপরাধ মার্জনা পলাশীর যুদ্ধ।

  • लेिखन-वस्डि नवां ।