পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষা-দীক্ষার কথা ଈ8ଳ “বহু মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিতকে বলিতে শুনিয়াছি-“আৰ্য্য-চিকিৎসার শেষ ঋষি গঙ্গাধর । শ্ৰীচৈতন্যদেবের যুগের পর এত বড় পণ্ডিত ভারতে জন্মগ্রহণ করেন নাই” ” ইনি সর্বশাস্ত্ৰে বিশারদ ছিলেন এবং ৭৭ খানি সংস্কৃত গ্ৰন্থ রচনা করিয়া গিয়াছেন। তন্মধ্যে আয়ুৰ্বেদ-সংক্রান্ত ৩২খানি, তন্ত্রগ্রন্থ ২খানি, জ্যোতিষ ১খানি, ব্যাকরণ ৮খানি, uBDD DDEBS BDS LDDLBDSDDDDDD L DBDBBDDS SDBDB gg SBSEB DB DDDD SS LuDBD BDDBD DBDBDBSBBD DDD SDiuBBBDDBES S ggB DBDDBB LB ভিষকৃগণের প্রধান অবলম্বন । গঙ্গাধর যশোহর জেলার মাগুরা গ্রামে। ১৭৯৭ খৃষ্টাব্দের জুলাই মাসে ( ২৪শে আষাঢ়, শুক্রবার) জন্মগ্ৰহণ করেন এবং ১৮৮৪ সনের ১৯শে জ্যৈষ্ঠ মূত্ৰীকৃষ্ণুরোগে প্ৰাণত্যাগ করেন। ইহার পিতার নাম ছিল ভবানী রায় ও মাতার নাম অভয়া দেবী—এবং ইনি তঁহাদের একমাত্ৰ সন্তান ছিলেন । এই পণ্ডিতদিগের শিরোমণি-স্বরূপ আমরা ব্ৰাজা ৰামমোহন ব্ৰায়ের নাম উল্লেখ করিতে পারি ; ইনি প্ৰাচীন ও আধুনিক কালের সন্ধিস্থলে বিরাজমান। ইনি হুগলী জেলার রাধানগর গ্রামে ১৭৭৪ খৃঃ অব্দে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৩৩ খৃষ্টাব্দের ২৭শে সেপ্টেম্বর বৃষ্টিল নগরীতে প্ৰাণত্যাগ করেন। পরাধীন জাতির একটি লোক, ধন-মান-ঐশ্বৰ্য্য-বিদ্যাগর্বিত ইংরেজদিগের মধ্যে তখনকার দিনে যে উচ্চ প্ৰশংসা ও শ্রদ্ধার অর্ঘ্য পাইয়াছিলেন, তাহাতে বুঝা যাইবে, আৰ্যসভ্যতার প্রধান লীলাকেন্দ্ৰসমূহে তখনও জ্ঞান-ধৰ্ম্মের পুণ্য-প্ৰদীপ জ্বলিতেছিল ; জগতের শ্রেষ্ঠ মনীষিগণ বাঙ্গলার ব্রাহ্মণকে যে জগদ্য-গুরু বলিয়া মান্য করিয়াছিলেন-তাহা তাহদের অজস্র অকপট হৃদয়ের অভিনন্দন দ্বারা প্ৰতীতি হয় । আমরা এখানে কয়েকজন সুপ্ৰসিদ্ধ ব্যক্তির অভিমত উদ্ধৃত করিয়া দেখাইব-বঙ্গীয় মন্দিরের হােমানল বিদেশী শ্রদ্ধাভক্তি কতটা আকর্ষণ করিয়াছিল। লণ্ডনের ইউনিটারিয়ান সমিতি হইতে রামমোহন রায়কে যে অভিনন্দন দেওয়া হয়, সেই সমিতির মুখপাত্র হইয়া রাজাকে DLuB LLEGLLL DDD K DODOD বাউরিং (Sir John lowring) Rt. বলিয়াছিলেন, তাহার মৰ্ম্ম এই :-"কেহ কেহ কল্পনা করিয়াছেন, যদি এখন আমাদের মধ্যে বিশ্ববিশ্রুত অমর-কীৰ্ত্তি ব্যক্তিগণ, যাহাদের যশ যুগযুগান্ত যাবৎ চলিয়া আসিয়াছে, তাহাদের মধ্যে কেহ যদি হঠাৎ সশরীরে উপস্থিত হন, তবে আমাদের মনে কি ভাব হইবে ? যদি হঠাৎ পুটো, সক্রেটস, মিলটন কি নিউটন অকস্মাৎ আসিয়া দেখা দেন, তবে আমরা কি ভাবিব ? অামাদের একজন কবি, যিনি স্বৰ্গীয় প্ৰতিভা লইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন বলিয়া লোকের বিশ্বাস, তিনি দক্ষিণ মেরুর সেই সুন্দর জ্যোতিষ্মান আলোকপুঞ্জ যাহা ‘স্বর্ণ gers' ( Golden (ross) बलिद्मा खछिश्एिङ হইয়া BDBDS SLBD D DDBD দেখিয়াছিলেন, তাহদের বিস্ময়াবিষ্ট মনের ভাব কিরূপ হইয়াছিল, তাহ অঙ্কন করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। আমি এই সমিতির পক্ষ হইতে রাজা রামমোহন রায়কে আপ্যায়ন করিতে যাইয়া সেইরূপ ভাব-বিহবলতার সহিত হস্ত প্রসারিত করিতেছি।” আমেরিকার ডাঃ বুথ মেঃ ইষ্টলিনের নিকট ১৮৩৩ খৃষ্টাব্দে ২৭শে নভেম্বর যে চিঠি লিখিয়াছিলেন,