পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SoV9Ne বৃহৎ বঙ্গ তৎপুত্র যশোধরমাণিক্য ১৬২৩ খৃঃ অব্দে রাজা হইলেন-ইহার সময়ে ভুলুয়ার রাজা গন্ধৰ্ব্বনারায়ণের সঙ্গে যুদ্ধ হয়, এই যুদ্ধে ত্রিপুর-সৈন্যের জয়লাভ হইয়াছিল। * যশোধরামাণিক্য-১৬২৩ কিন্তু জাহাঙ্গীর ইহার রাজ্যের সমস্ত হস্তী ও ঘোড়া চাহিয়া পাঠাইলে, ত্রিপুর রাজ উত্তর দিলেন, “হস্তী নাহি দিব আমি না যাব। কখন।” ইম্পিন্দার ও নুরুল্য নামক সেনাপতিদ্বয় ত্ৰিপুরেশ্বরের বিরুদ্ধে প্রেরিত হইলেন। ইম্পিন্দার উদয়পুর রাজধানী অধিকার করিলেন, পলাতক যশোধরমাণিক্যকে মোগলেরা ধরিয়া আনিয়া ঢাকায় বন্দী করিয়া রাখিল । তথা হইতে ফতেজঙ্গ নবাব তাহাকে জাহাঙ্গীরের নিকট পাঠাইয়া দিলেন। যশোধরমাণিক্য রাজ্য ত্যাগ করিয়া কাশীবাসী হইবেন এই বলিয়া মুক্তি পাইলেন । নানা তীৰ্থ ভ্ৰমণ করিয়া যশোধরমাণিক্য বাহাত্তর বর্ষ বয়সে বৃন্দাবনে প্ৰাণত্যাগ করেন। আড়াই বৎসর কাল বিজয়ী মোগলের উদয়পুর দখল করিয়া রাখিয়াছিল। “পাপিষ্ঠ মাগল জাতি দুষ্ট দুরাচার। ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম নিষেধিল নগর বাজার। যত কিছু রহে প্ৰজা উদয়পুরেতে। মোগলের সৈন্যে লুট না পারে থাকিতে। চতুৰ্দশ দেব পূজা নিষেধে যবন। কালিকা দেবীর পূজা করিল বারণ। অমরসাগর আদি যত সরোবর। খাল কাটিয়া শুকায় মাগল বর্বর। যত ধন আছিলেক উদয়পুর দেশ। সরোবরে লুকাইছে জানিয়া বিশেষ।” ( যশোধরমাণিক্য খণ্ড । ) কিন্তু মোগল সেনার মধ্যে মহামারি উপস্থিত হইল। কিছুতে তাহারা তথায় তিষ্ঠিতে না পারিয়া মেহেরকুলে আসিয়া আস্তান স্থাপন করিল। তখন সেনাপতি ও প্রজারা কল্যাণমাণিক্যকে রাজা করিয়া উদয়পুবে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিল। যশোধরমাণিক্যের পূর্বে যেরূপ ত্রিপুরারাজ্যে অন্ত্রের ঝনঝনা ও বীরের গর্জন শোনা যাইত-তার পর হইতে ক্ৰমশঃ ব্ৰাহ্মণের বেদপাঠ, খোলবাদ্য ও সংকীৰ্ত্তনের রোলই বেশী শোনা যাইতে লাগিল। কল্যাণমাণিক্য ত্রিপুর-রাজবংশীয় লক্ষ্মীনারায়ণের সঙ্গে যুদ্ধাদি করিয়া বিরাগ বোধ করিতে লাগিলেন । তিনি গুরুর চরণে ধনুৰ্বাণ সমৰ্পণ করিয়া “আজি হৈতে অস্ত্ৰ ত্যাগ করিলাম। আমি” এই শপথ করিলেন। তঁহার পুত্ৰ গোবিন্দকে যৌবরাজ্য প্ৰদান করার cfffRMINffAFJ-2 vev> Osbo : উৎসবে তিনি তুলাদান করিয়াছিলেন এবং বৃন্দাবন, মথুরা, সেতুবন্ধ DiD DD DBDDDBDB BEE DB SDMSe DS BBYKS BDB DBBDB S "চন্দ্ৰ গোপীনাথ" মূৰ্ত্তি মগের লইয়া গিয়াছিল, তিনি তাহা আনাইয়া পুনরায় স্থাপন করিয়াছিলেন, এবং তৎকর্তৃক ধৰ্ম্মমঠ নামে এক মন্দির ও তৎ সংলগ্ন “জগমোহন” নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। তৎকৃত কৈলাগাড়ের দেবীমন্দির অতি প্ৰসিদ্ধ । কল্যাণ-সাগর তঁাহার অপর এক কীৰ্ত্তি। ১৬৬০ খৃষ্টাব্দে ইনি স্বৰ্গগত হন। তঁহার পুত্ৰ গোবিন্দমাণিক্যের সময়ের বিশেষ কোন ঘটনা নাই, ইহার সঙ্গে আরাকান-রাজ সন্দসুধৰ্ম্মের খুব সৌহার্দ্য ছিল, ইনি আরাকানরাজ-সভায় সাহসুজার সঙ্গে • রাজমালার তারিখের সহিত এইস্থলে কৈলাসচন্দ্ৰ সিংহের ইতিহাসের তারিখের মিল নাই। নানা কারণে আমরা কৈলাসবাবুর তারিখই গ্ৰহণ করিয়াছি। 夺可h可怀夺H心ac 弥:1 ty of J-swo ۱ :ه بابا ۲۰ د