পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের প্রাদেশিক ইতিহাস-ত্রিপুরারাজ্য à è 1890 কীৰ্ত্তিধরের ( ছেং থোম্ফার) বৈজয়ন্তী-স্বরূপ মহারাণী ত্রিপুর-সুন্দরী যেখানে হস্তিপুষ্ঠে আরূঢ়া হুইয়া গৌড়েশ্বরের সেনাপতি হীরাবন্ত খাঁর সোণার পাগড়ীর উপব স্বীয় বিজয়-চিহ্ন লাহিত করিয়া দিয়াছিলেন, (৩) যেখানে এই বীর-রমণীর দুৰ্দ্ধাষ সমরে লক্ষ সৈন্য হত হইয়াছিল— এবং উৰ্দ্ধে কবন্ধ-দর্শনের পরিকল্পনা করিয়া রাজা বিস্মিত হইয়াছিলেন, রাজ-জামাতা সেই শোণিতান্দ্রি শব-সম্বুল রণ-ক্ষেত্রে বসিবার জন্য তিলমাত্ৰ স্থান না দেখিয়া বিশালকায় হস্তীর দন্ত খড়গাঘাতে কাটিয়া রাজার জন্য সাময়িক সিংহাসন প্ৰস্তুত করিয়া দিয়াছিলেন-ত্রিপুরার রাজ্ঞী কৰ্ত্তক গৌড়ের এই পরাজয়-কাহিনী চিরস্মরণীয় করিবার জন্য এই সকল স্থানে কোন স্মৃতিচিহ্ন রক্ষা করা কি উচিত নহে? যেখানে যেখানে ত্রিপুররাজ্যের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে রাজধানী ছিল, যথা ত্ৰিবেগ, খলিংমা ছাঙ্গুলনগর, কাইচারজ, আচরঙ্গ, তারক, বিশাল গড়, খুটিমুড়া, নাকিবাড়ী, থানাংচি, ধোপ-পাথর, লাউগঙ্গা, মোহরী গঙ্গা, তেলাইরঙ্গ, মণিপুর, উদয়পুর-সেই সকল স্থান এখন নিশ্চিহ্ন,-ইহাদের স্মৃতিচিহ্ন রাখার কোন ব্যবস্থা হইতে পারে । (৪) যেখানে হুসেন শাহের সৈন্যদিগকে উপযুঁ্যুপরি মহারাজ ধন্যমাণিক্যের সেনাপতি মহাবীর চয়চাগ জয় করিয়াছিলেন, যেখানে ত্রিপুর-সেনারা আট মাস ব্যাপী চেষ্টার পর অষ্ট হস্ত দীর্ঘ ও তিন হস্ত প্ৰশস্ত গোধিকার সাহায্যে অজেয় থানাংচি দুর্গ জয় করিয়াছিলেন, তথায়ও একটি স্মৃতিস্তম্ভ উখিত হইতে পারে। (৫) মহারাজ অমর DBBD DBDBB DDS SuBBDBDDBB LggBD DDDDS sg BBD BBDDBDBD SDtt g অব্দে আরম্ভ হইয়া। ১৫৮১ খৃষ্টাব্দে শেষ হয়,-“এই খনন-কাৰ্য্যে সহায়তা করিবার জন্য সামন্ত-রাজারা লোক পঠাইয়াছিলেন, শ্ৰীপুরের চাদ রায় ৭০০, বাকুলার বসু। ৭০০, গোয়াল পাড়ার গাজি ৭০০, ভাওয়ালের বা ‘জা ১০০ 0, সরাইলের রাজা ইসা খাঁ ১০০০, ভুলুয়ার রাজা ১০ ০০, একথা পূর্বে অমরমাণিক্যের রাজত্বপ্রসঙ্গে একবার লিখিয়াছি; সেই অমর-দীঘির তীরে এক স্মৃতিস্তম্ভ রচনা করিয়া তন্মধ্যে এই কথাগুলি উৎকীর্ণ করিলে ত্রিপুর-রাজবংশের গৌরবের বিষয় হইতে পারে। (৬) যেখানে যুবরাজ রাজধার-ইসা খাঁ প্রভৃতি সামন্ত-রাজগণ সহ তোরাপের (শ্ৰীহট্টের ) রাজা ফতে সিংহকে ভীষণ যুদ্ধের পর পরাজয়পূর্বক বন্দী করিয়া লইয়া আসিয়াছিলেন-সেই স্থানে সুৰ্ম্মা নদীর তীরে গোধারাণীপল্লীতে বিজয়স্তম্ভ উখিত করিয়া সেই জয় বার্তা চিরস্মরণীয় করিবার যোগ্য। (৭) এরূপ আরো অনেক স্থান আছে, বাহুল্য-ভয়ে তাহার উল্লেখ করিলাম না। যেখানে যেখানে মহারাণীরা সহমৃতা হইয়াছিলেন,-তাহার উল্লেখ রাজমালায় আছে—সেখানে সেখানে সমস্ত বাঙ্গালীজাতির তপ্ত অশ্রুর অর্ঘ্য দ্বারা-সেই পুণ্যশীলাদের স্মৃতি অভিনন্দিত হইতে পারে। (৮) এই কাৰ্য্যে ব্যয় খুব বেশী হইবার নহে। শুধু প্ৰস্তরলেখ প্ৰস্তুত করা ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্তম্ভ রচনার খরচ কতই বা পড়িবে ? আমার মনে হয় এক একটি স্তম্ভে ১৫০২ টাকায় বেশী খরচ হয় না। ত্রিপরার রাজারা অনেকেই বাঙ্গলাভাষার উৎসাহবৰ্দ্ধক ছিলেন—তাহারা যে সমস্ত সংস্কৃত গ্ৰন্থ বাঙ্গলায় অনুবাদ করাইয়াছিলেন,-সেগুলি কোথায় গেল ? তাহা কি