পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*) OVoyo বৃহৎ বঙ্গ চৈতন্যদেব স্বীয় প্ৰেম-রূপ দেখাইয়া লোকের মন ভুলইয়াছেন-সেই ভাবৰিহাবলতার বন্যার মধ্যে উপদেশ দেওয়ার অবকাশ খুব কমই ছিল। সুতরাং চৈতন্যদেবের কোন প্রভাব যে শঙ্কর দেবের উপর পড়িয়াছিল, এমন বোধ হয় না। কথিত আছে শঙ্করদেৰ একদিনের মধ্যে ভাগবতের একখানি মৰ্ম্মানুবাদ আসামী ভাষায় রচনা করিয়া রাজা নরনারায়ণকে বিস্মিত করিয়া দিয়াছিলেন, কোন ব্ৰাহ্মণ তাহা এত অল্প সময়ের মধ্যে করিতে পারেন নাই। শঙ্করের এই ভাগবতের অনুবাদখানির নাম ‘গুণমালা’ । মৃত্যুকালে শঙ্করের পাদমূলে বসিয়া পুত্র রামানন্দ ঠাকুর বলিলেন, “বাবা, আমাকে কি দিয়া যাইতেছেন ?” শঙ্কর বলিলেন, “তোমার মাতার স্বর্ণ ও মণিমাণিক্যের বৈভব আছে, তাহা ছাড়া রাজা শুক্লধ্বজ এবং রাজকুমারী ভুবনেশ্বরী যে অতুল ঐশ্বৰ্য্য দিয়াছেন তাহা তোমারই রহিল।” রামানন্দ চক্ষের জল মুছিয়া বলিলেন, “আমি এ সকল পার্থিব ঐশ্বৰ্য্যের কথা বলিতেছি না, বাবা, আমাব পরকালেব সহায় হয়, এমন ধন আমি আপনার নিকট চাই ।” মুম্ষুর মুখমণ্ডল আনন্দ-গৌরবে উজ্জ্বল হইয়া উঠিল, তিনি বলিলেন, “তুমি আমার যোগ্য পুত্ৰআমার ধৰ্ম্মজীবনের সর্বস্ব আমি আমার শিষ্য মাধবকে দিয়াছি, তাহার সহিত আমার কোন প্ৰভেদ নাই। তুমি যাহা চাও, তাহার নিকট পাইবে।” কিরূপে এই বৈষ্ণব-সম্প্রদায় ক্রমশঃ বড় হইয়া সমস্ত দেশ গ্ৰাস কবিয়া ফেলিয়াছিল এবং পরিশেষে অহমরাজদের অকথ্য অত্যাচারে তাহার হস্তের জপমালা ফেলিয়া অসি ধারণপূর্বক এক রাজাকে নিধন করিয়া কিছুকালের জন্য সমস্ত দেশ অধিকার করিয়াছিল,-তাহার বিবরণ আমরা ইতিপূৰ্ব্বে সংক্ষেপে দিয়াছি। আসাম নান” রূপ শিল্পের জন্য বিখ্যাত । আসামের রেশমী বস্ত্ৰ মেয়েরা প্ৰস্তুত করিয়া থাকেন; তাহদের কারুকাৰ্য্য, বিশেষ শাড়ীর অঞ্চলের ফুললিতার চারুশিল্প—অদ্ভুত। ১৬৬২ খৃষ্টাব্দে আসামে যে প্রাসাদ ছিল, তৎসম্বন্ধে একজন সাময়িক মুসলমান ঐতিহাসিক লিখিয়াছেন, “এই রাজপ্রাসাদের মধ্যে কাষ্ঠের যে অপুৰ্ব্ব কাৰ্য্য দেখা যায, এবং অপরাপর শিল্পের যে নিদর্শন আছে—তাহ সুদুৰ্লভ, তাহা আমার লেখনীর বর্ণনার অতীত। বোধ হয় জগতের আর কোন স্থানে কাঠের ঘবে এরূপ অদ্ভুত সৌন্দৰ্য্য এবং শিল্পকলা অন্য কোন জাতি দেখাইতে পারে নাই। প্ৰতি প্ৰকোষ্ঠে গবাক্ষগুলির পিত্তলনিৰ্ম্মিত আরাশী নানারূপ মনোজ্ঞ আকৃতিতে গঠিত হইয়া এরূপ মসৃণতা প্ৰাপ্ত হইয়াছে যে যখন সুৰ্য্যের আলো তাহাদের উপর পড়ে, তখন প্ৰকোষ্ঠগুলি ঝলমল করিয়া চোখ দাধিয়া দেয়। রাজার শয়ন-গৃহ ছাড়াও অন্যান্য কাষ্ঠের অট্টালিকা এত সুন্দর, তাহদের সুগঠিত অবয়বে চারুশিল্পের এরূপ মনোহারী খেলা যে, তাহা দেখিবার সামগ্ৰী, ভাষা দিয়া এই অনিন্দ্য সৌন্দৰ্য্য বোঝান যায় না।” ( গেট সাহেবের ইতিহাস, ১৫১ পৃঃ)। এইরূপ কাষ্ঠ ও বেত বীশ দ্বারা নিৰ্ম্মিত ঘরের প্রাচুর্ঘ্য এক সময়ে DB BDD GBBDDD DBDSS SDBBDBD L0EcAJg D DBDD BBBBB BDD S fit S gris)