পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠান রাজত্বসম্বন্ধে নানা কথা V266 মুসলমানেরা নব আভিজাত্যের ফলে অপরাপর জাতিকে উপেক্ষা করিয়াও হিন্দুর ব্ৰাহ্মণদিগের প্ৰতি শ্ৰদ্ধা হারান নাই। এখনও একজন ব্ৰাহ্মণকে মুসলমান ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিতে পারিলে তাহারা বিশেষ গৌরব বোধ করিয়া থাকেন । হিন্দু ও পাঠান প্রভৃতি মুসলমান শ্রেণীর সহিত রক্তের সম্বন্ধ একটা প্ৰবাদ-বাক্য নহে, ইহার দৃষ্টান্ত বিরল নহে, বহুল। আকবর মোগল রক্তের সঙ্গে রাজপুতের রক্ত-সংস্রবের পথ দেখাইয়া দুই জাতিকে মিলনের দিকে টানিয়া আনিয়াছিলেন। কিন্তু বাঙ্গলাদেশে হিন্দু-মুসলমানের যেরূপ মেশামোশি হইয়াছিল, বোধ হয়। ভারতেব আর কোনও দেশে তাদৃশ ঘনিষ্ঠত হয় নাই। পল্লীগীতিকায় এইরূপ বহু দৃষ্টান্ত পাওয়া গিয়াছে। মুসলমান বাদাসাহের সময়ে সময়ে হিন্দু সাধুদেব প্রতি যেরূপ অনুরাগ ও ভক্তি দেখাইতেন, তাহা বিশেষ উল্লেখযোগ্য, মুসলমান ঐতিহাসিকগণই তাহা লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন। একটির কথা এখানে উল্লেখ করিতেছি। বঙ্গাধিপ। ইলাইস খা ( সামসুদ্দিন-১৩৫৩ খৃঃ) তখন দিল্লীর সম্রাট ফিরোজ খার সহিত যুদ্ধে প্ৰবৃত্ত ছিলেন। ফিরোজ পাণ্ডুয়া হইতে একডাল দুর্গ অবরোধ করিলেন। সামসুদ্দিন সেই দুর্গে ছিলেন। এই একডাল দুর্গের সন্নিকটে ভবানী নামক এক হিন্দু সাধু ছিলেন, সামসুদ্দিন তঁাহাব অনুরক্ত ভক্ত। তিনি শুনিলেন সাধুবাবার দেহত্যাগ হইয়াছে, তখন সমস্ত বিপদের আশঙ্কা তুচ্ছ করিয়া তিনি ফকিরের বেশে দুর্গ হইতে একাকী বাহির হইয়া সাধুর মৃত দেহের প্রতি সন্মান দেখাইবার জন্য সাধুর আশ্রমে উপস্থিত হন। পথে সম্রাটের শিবির। সামসুদ্দিন তাহার গুরুদেবের শবের প্রতি শেষ সম্মান দেখাইয়া সেই ছদ্মবেশেই ফিরোজ সার দরবারে প্রবেশ করিয়া তাহার সহিত দেখা করিলেন, তৎপরে শনৈ: শনৈঃ স্বীয় দুর্গে “ত্যাবৰ্ত্তন করিলেন। সম্রাট যখন শুলিলেন র্তাহার প্রবল শক্রি, যাহাকে ধরিবার জন্য তিনি ২২ দিবস যাবৎ একডাল দুর্গ অবরোধ করিয়া রহিয়াছেন, তিনি ফাকি দিয়া তাহার মৃত গুরু দশন করিয়া, এমন কি তাহার শিবিরে ঢুকিয় তাহার সহিত কথাবাৰ্ত্ত কহিয়া গেলেন, তখন র্তাহার ক্ৰোধের সীমাপরিসীমা রহিল না ; কিন্তু তিনি সামসুদিনের দুর্দান্ত সাহসিকতা এবং অচলা গুরুভক্তির প্ৰশংসা না করিয়া পারিলেন না। পূর্ববঙ্গগীতিকায় মুসলমান গায়কগণ যে সৌভ্রাত্রের পরিচয় দিয়াছেন, তাহাতে আমরা বুঝিতে পারি কি করিয়া এই দুই জাতি, মত ও ধৰ্ম্মের এতটা পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, শতাব্দীব পর শতাব্দী পরস্পণের চালে ঢালে ঠেকাঠেকি করিয়া বাস করিতেছেন। পীর বাতাসীব মুসলমান গায়েন স্বীয় গুরু জিন্দাগাজীর নিকট বর প্রার্থনাপূর্বক “মক্কা মদিনা বন্দুলাম কাশী গায়াপান” ইত্যাদি বন্দনা-গীতে হিন্দুর DBiLiBB SMBBDBD BBD BBDLYDSSgg gDSDD EEEESS K DBBDSDDDSSSSSS BBDD ডাকাইতের গীতিকার মুসলমান কবি তাদেশীয় (চট্টগ্রামের) সমস্ত গ্ৰাম্য দেবতাকে পৰ্যন্ত প্ৰণাম করিয়া গীতি আরম্ভ করিয়াছেন, উপসংহারে তিনি “সীতা শান্তি ( সতী।) মাকে মানি, রঘুনাথ গোসাই” প্ৰভৃতি পদ গাহিয়া “দুনিয়ার সার” পিতামাতার চরণ हिन्यू-भूल शशांप्न वैौडि।