পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>> eや বুহুৎ বঙ্গ নবাব ও ইংরেজ সৈন্যদের রসদ-সংগ্ৰহ, দামুদিগের ক্রমাগত নিরীহ গৃহস্থাদিগকে উ ৎপীড়ন, BDBDBDB DDBSED DDDDYTuDuDBBBuLDBBDB DBDD uDD BB DBB ButBS সুদীর্ঘ ২১টি বৎসর রাজ্যভোগ অথবা দুর্ভোগ ভুগিয়া রাজা পরীক্ষিৎ পরলোক-গমন করেন । এই দেশে মুসলমান অধিকারের প্রতিষ্ঠা-কাল ১৫৬৮ ধরা যাইতে পারে। তৎপূর্বে হিজলীতে তাজ খাঁ একটি ক্ষুদ্র মুসলমান রাজ্য স্থাপন করিয়াছিলেন । উত্তরকালে প্ৰতাপাদিত্য হিজলীর অধিকার মুসলমানদিগের নিকট হইতে কাড়িয়া লইয়াছিলেন। আমরা গ্ৰন্থভাগে দেখাইয়াছি, উড়িষ্যা এক সময়ে মোগলদের বিরুদ্ধে পাঠানদের ষড়যন্ত্রের অন্যতম কেন্দ্ৰস্থান হইয়া দাড়াইয়াছিল। দাউদ খাঁ মোগলদের সঙ্গে সন্ধি করিয়া উড়িষ্যার অব্যাহত অধিকার পাইয়াছিলেন, কিন্তু দুরদৃষ্ট তাঁহাকে কোন দিনই সিংহাসনে স্থায়িভাবে বসিতে দেয় নাই। প্রতাপাদিত্যের পর বলভদ্র দাস নামক এক ব্যক্তি হিজলীর মণ্ডলাধিকারী হইয়াছিলেন । গোপীয়াজবল্লভ দাস কৃত রসিকানন্দের জীবনেতে উল্লিখিত আছে, বলভদ্র রাজরাজেশ্বরের মত জঁাকজমকে থাকিতেন--হিজলী মণ্ডলে নাহি হেন ভাগ্যবান”-ইহার কন্যা ইচ্ছা-দেবীকে রোহিণী নামক স্থানের রাজা অচ্যুতানন্দের পুত্র রসিকানন্দ মুরারি বিবাহ করেন। রসিকানন্দ শুষ্ঠামানন্দের শিষ্য হইয়া সমস্ত উড়িষ্য-মণ্ডলে চৈতন্যধৰ্ম্ম প্রচার করেন। রসিকানন্দ ১৫৯০ খৃঃ হইতে ১৬৫২ খৃঃ অব্দ পৰ্যন্ত বিদ্যমান ছিলেন । এই সময়ে হিজলীর শাসনকৰ্ত্তা এবং প্ৰধান ব্যক্তিস্বরূপ এই কয়েক জনের নাম আমরা পাইয়াছি। :-বিভীষণ দাস ( পদ্মনাভ দাসের পুত্র)। ১৫৮৪ খৃঃ, বিভীষণের পুত্র ভীমসেন মহাপাত্র, বলভদ্র দাস ও সদাশিব দাস, সলিম খাঁ ( ১৬০৯ খৃঃ) । পাঠানদিগের সময়ে নানারূপ রাজনৈতিক বিপ্লবে হিজলী ছিন্নবিচ্ছিন্ন হইয়াছিল। তোদড় মল্ল কর্তৃক রাষ্ট্র বিভাগের পর সাজাহান পুনরায় এই অঞ্চলের বিভাগ করিয়াছিলেন। তদনুসারে বর্তমান মেদিনীপুর জেলার অধিকাংশই সরকার জলেশ্বর, সরকার মুজকুরি, সরকার মালঝিটা ও সরকার গোয়ালপাড়ার অন্তৰ্গত করা হইয়াছিল। ঐ সময় হিজলী সুৰা উড়িষ্যা হইতে স্বতন্ত্র করা হয় এবং উহা বাঙ্গলার অন্তভুক্ত হয়। ১৬৫৮ খৃঃ অব্দে সুলতান সুজা সুৰ-বাঙ্গলাকে নূতন রূপ বিভাগ করেন ; তিনি তোেদর মল্পের কৃত বাজলার ১৯টি সরকারের সহিত হিজলী ও বালেশ্বরের ছয়টি এবং নবসৃষ্ট নয়টি সরকার মিলাইয়া সুবা-বাঙ্গলাকে ৩৪ সরকারে-১৩৫০ মহালে বিভক্ত করিয়াছিলেন । ইহার পর পুনঃ পুনঃ রাজস্ব সংক্রান্ত বিভাগ হয়, তাহার তালিকা দেওয়া নিম্প্রয়োজন। কিছু দিন পূর্বে বৰ্ত্তমান মেদিনীপুর ৪টি জেলার অন্তভুক্ত ছিল -বৰ্দ্ধমান, জলেশ্বর, মেদিনীপুর ও হিজলী । • ১৭৮৭ খৃষ্টাব্দে জলেশ্বর জেলাকে মেদিনীপুর জেলার সহিত সংযুক্ত করিয়া দেওয়া হয়- • • • • • • • • উত্তরকালে বৰ্দ্ধমানের অন্তৰ্গত বগড়ি পরগনা ও হিজলীর অন্তৰ্গত কতকগুলি পরগনা ও সমগ্ৰ হিজলী জেলাকে মেদিনীপুর জেলার সহিত সংযুক্ত করিয়া দেওয়া হয়।” ( যোগেশবাবুর ইতিহাস, ২৫ পৃঃ) । মেদিনীপুরের প্রস্তর-বিগ্রহ ও মন্দিরাদি সম্বন্ধে যোগেশবাবু ষে সকল কথা লিখিয়াছেন, তাহা অতীব কৌতুহলোদ্দীপক । দুঃখের বিষয় সেই দুর্লভ