পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSVO8 বৃহৎ বঙ্গ দেওয়ান ছিলেন। ইনি বিক্রমপুর বাজযোগিনী-গ্রামবাসী এবং ইহার নাম ছিল কুশধ্বজ, দেওয়ানজী বৰ্ত্তমান জয়দেবপুরের পশ্চিমে চান্দনা গ্রামে গৃহ নিৰ্ম্মাণ করান। কুশধ্বজের পুত্র বলরাম গাজিদের সম্পত্তির নয় আনা অংশ নিলামে ক্রয় করিয়া নবাব-সরকার হইতে ‘রায় চৌধুরী’ উপাধি প্ৰাপ্ত হন, তারপর রাজা উপাধি হয়। বলরামের পরে শ্ৰীকৃষ্ণ রায় চৌধুরী, জয়দেব রায় চৌধুরী, গোলোকনারায়ণ রায় চৌধুরী এবং কালীনারায়ণ রায় চৌধুরী যথাক্রমে রাজা হন। কালীনারায়ণ গবর্নমেণ্ট হইতে ‘রাজা” উপাধি পাইয়াছিলেন। কালীনারায়ণের পুত্র রাজা রাজেন্দ্রনারায়ণ রাজা হইয়াছিলেন, হঁহারই দেওয়ান ছিলেন পূর্ববঙ্গের উজ্জ্বল রত্ন রায় বাহাদুর কালীপ্রসন্ন ঘোষ। রাজেন্দ্রনারায়ণ ১৯০১ খষ্টাব্দে স্বৰ্গীয় হন। তঁহার তিন পুত্ৰ কুমার রণেন্দ্রনারায়ণ, কুমার রমেন্দ্রনারায়ণ এবং কুমার ববীন্দ্রনারায়ণ-সকলেই স্বৰ্গীয় হইয়াছিলেন—এই কথাই প্ৰচারিত হইয়াছিল ; কিন্তু সম্প্রতি রমেন্দ্ৰনারায়ণ চিন্তা-শয্যা হইতে উঠিয়া স্বীয় অধিকারের দাবী করিতেছেন, খবরের কাগজে এই কথা পড়া যাইতেছে। সে বিচার এখনও শেষ হয় নাই । ময়নাগড়-এই সুপ্ৰসিদ্ধ ঐতিহাসিক রাজ্যের পূর্বপ্ৰবাদ ধৰ্ম্ম-মঙ্গল কাব্য-প্ৰসাদে সকলের নিকটই বিদিত। ইহা এককালে কৰ্ণ সেনের রাজধানী ছিল। র্তাহার পুত্ৰ মহাবীর লাউ সেনের ( লব সেনের ) অনেক কীৰ্ত্তিকথা প্ৰবাদীবাক্যের ন্যায় হইয়া আছে ; লাউ সেনের পুত্ৰ চিত্র সেন । কিন্তু প্ৰাচীন রাজবংশের কি হইল জানা যায় নাই। বৰ্ত্তমানকালে ময়না রাজ্যের রাজাদের আদিপুরুষ-১ । গোবৰ্দ্ধনানন্দ বাহুবলীন্দ্ৰ, ২। পরমানন্দ বাহুবলীন্দ্ৰ, ৩ ৷৷ মাধবেন্দ্ৰ বাহুবলীন্দ্ৰ, ৪ । গোকুলানন্দ বাহুবলীন্দ্র, ৫ ! কৃপানন্দ বাহুবলীন্দ্র, ৬। জগদানন্দ BBDBDS S iSSS BBBBBD DBDBDBDDS C SS BDBBDBDD DDDSSS BDLKDDDBD বাহুবলীন্দ্র। রাধাকৃষ্ঠামানন্দ ১৮২৮ খৃঃ অব্দে রাজাসন প্ৰাপ্ত হন। ১৮৮১ খৃঃ অব্দে র্তাহার মৃত্যু হইলে রাজা জ্ঞানানন্দ, তঁহার ভ্রাতা নিরঞ্জনানন্দ ও ভ্রাতুষ্পপুত্ৰ সাধনানন্দ সাধারণ গৃহস্থ হইয়া পড়িয়াছেন, তাহাদের রাজ-বিভূতি আর নাই। পুটিয়া-বৎসরাচাৰ্য্য এই বংশের আদিপুরুষ, তাহার পুত্ৰ পীতাম্বর বায় জমিদার অৰ্জন করেন । তৎপরে নীলাম্বর রায় ও পরে আনন্দচন্দ্র রায় জমীদার হন, আনন্দচন্দ্ৰ দিল্লীশ্বর হইতে “বাজা” উপাধি প্ৰাপ্ত হন। আনন্দ চন্দ্রের পুত্র রীতিকান্ত,-তারপর ক্রমান্বয়ে রামচন্দ্র রায়, নরনারায়ণ রায়, দীপনারায়ণ রায়, জয়নারায়ণ রায়, রাজেন্দ্ৰনারায়ণ রায় ও যোগেন্দ্ৰনারায়ণ রায় রাজপদে প্ৰতিষ্ঠিত হন। যোগেন্দ্রনারায়ণের বিধবা পত্নী শরৎসুন্দরী দেবী এদেশের গৃহলক্ষ্মীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ স্থানের অধিকারিণী, তিনি প্ৰাতঃস্মরণীয়া । রাণী শরৎসুন্দরী বৈধব্য-দশায় ভূতলে কম্বল-শয্যায় শুইতেন, উপবাস ও নানাবিধ কৃচ্ছসাধন করিয়া তিনি তন্বঙ্গী হইয়াছিলেন। একদা কোন উচ্চ ইংরেজ কৰ্ম্মচারী তাহার ষ্টেট দেখিতে আসিয়া বন্ধুভাবে বলিয়াছিলেন, “ইনি তো এখনও তরুণ-বয়স্ক, আবু একবার বিবাহ করিতে পারেন।” এই পাপ-কথা শুনিয়াছিলেন বলিয়া তিনি সারাদিন আশ্রমোচন করিয়াছিলেন