পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুসমাজ ও বৈষ্ণবধৰ্ম্ম هوا ) KKLLK Dt tBBS BDBDDBB BBBD DBDD D DDBYBB DB LDDDD অনুষ্ঠানে পরিণত হইয়াছিল। বৌদ্ধাধিকারে ধৰ্ম্ম সঙ্ঘের গণ্ডীতে আবদ্ধ হইয়া পড়িয়াছিল। ভিক্ষু ও ভিক্ষুণী পৌরোহিত্যের ভার লওয়ায় নরনারীর অবাধ সংমিশ্রণের ফলে বিহারগুলি হীন বিলাসের ক্ষেত্র হইয়াছিল। এমন কি বুদ্ধ কে ছিলেন, তাহা পৰ্য্যন্ত জনসাধারণ ভুলিয়া গিয়াছিল ; এখন যেমন হিন্দুরা বেদপন্থী বলিয়া স্বীয় পরিচয় প্ৰদান করেন। কিন্তু বেদ কি জনসাধারণে তাহার কিছুই বিদিত নহে-বৈদিক আচার কতিপয় ব্ৰাহ্মণের পুথিগত বিদ্যার অঙ্গীয় হইয়াছে এবং জনসাধারণ কিছুই না বুঝিয়া না শুনিয়া শ্ৰাদ্ধাদি ব্যাপারে কতকগুলি দুৰ্বোধি মন্ত্র আওড়াইয়া যায়, দুৰ্ব্বাদলের গ্ৰন্থি তৈরী করিয়া করাঙ্গুলীতে পরে এবং হস্তের নানারূপ ভঙ্গিমা করিয়া কখনও গালে কখনও অঙ্গের অন্যান্য স্থান স্পর্শ করিয়া যোগের কসরৎ করে, বৌদ্ধধৰ্ম্ম তেমনই কতকগুলি দুৰ্বোধি এবং বাহ অনুষ্ঠানে দাড়াইয়াছিল। শূন্য-পুরাণ ও ধৰ্ম্মপূজা-পদ্ধতি জনসাধারণের আনুষ্ঠানিক ধৰ্ম্মের কতকগুলি দুৰ্বোধি ভেল্কি,--বুদ্ধের সরল নীতিমার্গের বিকৃত পরিণতি । ধৰ্ম্মজগতের বৈজ্ঞানিক ইতিহাসে নৃতত্ত্ববিদের নিকট এই দুই পুস্তকের একটা স্থান হইতে পারে। কোন বিলুপ্ত পশুর কঙ্কাল হইতে পণ্ডিতগণ যুগবিশেষের জীবতত্ত্ব আবিষ্কার করিয়া ফেলেন, এই দুই পুস্তকও তদ্রুপ মনুষ্য-সমাজের প্রাচীন আধ্যাত্মিক তত্ত্বের জীৰ্ণ কঙ্কাল ভিন্ন আর কিছু বলা যায় না । "ধৰ্ম্মরাজ যজ্ঞ নিন্দ করে” কিংবা “সিংহলে শ্ৰীধৰ্ম্মরাজের বহুত সম্মান” প্ৰভৃতি দুই একটি বচন দ্বারা আমরা বুঝিতে পারি যে এই পুস্তকগুলির লক্ষ্য ভূবনপাবন বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম । পাঠান-নেতা দ্বারা কাশীরাজ যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হইলে তঁহার দেহ ও মুখমণ্ডল এরূপভাবে বিকৃত হইয়াছিল যে তাঁহাকে চিনিবার কোনই উপায় ছিল না, শুধু তাহার সোণাবাধা তি কয়েকটি তীহাকে চিনাইয়া দিয়াছিল ; শূন্যপুরাণের বিহারগুলিতেও তেমনই দ্বারপণ্ডিতদের প্রসঙ্গে দুই একটি পদমাহাত্ম্য এবং সঙ্ঘের উদ্ভট বিকৃতি “শঙ্খের” উল্লেখে এই পুরাণকে সাবেকী বৌদ্ধধৰ্ম্মের অঙ্গীয় বলিয়া মনে হইতে পারে, নতুবা বৌদ্ধধৰ্ম্মের কোন নীতি বা জ্ঞান এই দুইখানি পুস্তকে পাওয়া যায় না। এই দুই পুস্তক মূলতঃ অবলম্বন করিয়া বঙ্গের পল্লীতে পল্লীতে “ধৰ্ম্মতলায়” কচ্ছপরূপী ধৰ্ম্মঠাকুরের খুব জোরে ঢাক পিটিয়া পূজা দেওয়া হইয়াছে মাত্র। আমরা পূর্বেই বলিয়াছি বৌদ্ধ শাস্ত্রগুলির যাহা সার কথা তাহা হিন্দু শাস্ত্ৰ সমস্তই আয়ত্ত করিয়া ঐ ধৰ্ম্মকে ভারতবর্ষের ত্ৰিসীমানা হইতে দূর করিয়া দিয়াছিল, জনসাধারণের মধ্যে যে ধৰ্ম্ম শৈব ও বৌদ্ধধৰ্ম্ম এই উভয়ের প্রতীকস্বরূপ গৃহীত হইয়াছিল তাহ নাথধৰ্ম্ম৷”-তাহা উদ্ভট রকমের সিদ্ধপুরুষ ও নারীদিগের অলৌকিক লীলা ও আজগুবী গল্পপূর্ণ। এই আকারে বঙ্গদেশের নাথধৰ্ম্মও জনসাধারণের উন্নতির জন্য কিছু দিয়া যায় নাই। শুধু বুদ্ধের সংযমের ভাবটা গোরক্ষ যোগীর চরিত্রে আভাসে পাওয়া যায় ও ত্যাগের আদর্শটা গীতিকথাগুলির মধ্যে পূর্ণভাবে ধরা পড়িয়া গিয়াছে । এই গীতিকথাগুলিই বৌদ্ধযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ দান। মালঞ্চমালার মত একটি শূন্য পুরাণ ও ধৰ্ম্মপূজাপদ্ধতি ?