পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুসমাজ ও বৈষ্ণবধৰ্ম্ম Vyv) his age scy's Dr. Sylvan Levis लूषिका ) ভগবানের অস্তিত্ব धुईान (अंडूडि BzS BBDBBtDt DD DBDDD S DD DuDBBt BBSDDDS DDS SBBBB S SuD ভালবাসা যায়-এ কথাটা অবিশ্বাস করা যাইতে পারে না। অনেক দেশের সাধু ও মহাজনের ভগবানের প্রত্যাদেশের কথা বিশ্বাস করেন, কারণ জগতের বড় বড় ধৰ্ম্মগ্রন্থের অনেকগুলিই এই প্ৰত্যাদেশের উপর স্থাপিত। যাহার প্রত্যাদেশ শোনা যায়, তঁহার রূপদৰ্শন কেনই বা অসম্ভব হইবে ? একমাত্র চৈতন্যদেব তাহার জীবনে MBEEK DBDDBDS LDD BttBDD DBBBDBBDSS DB DBDBDD BDBDBBDB uuuDD DDS “ফুরণের মত আভাসে মাত্ৰ দেখিয়া থাকেন; যে মুহূৰ্ত্তে সেই আভাসে দর্শন লাভ হয় সেই মুহুর্তে ধ্যানীর ধ্যানের সার্থকতা। শুক, প্ৰহ্নলাদ ও ধ্রুবের ভগবদর্শন এত উপগল্পে জড়িত যে তাহা ঐতিহাসিক যুগের প্রামাণিক কথা বলিয়া অনেকে গ্ৰহণ করিতে স্বীকৃত হইবেন না । কিন্তু জীবনে এই দর্শনটি সর্বাপেক্ষা বড় কথা এবং ইহার ফলে তঁাহার জীবনব্যাপী হইয়াছিল। গয়ায় যাইয়া তিনি কিছু দেখিয়াছিলেন ; কি দেখিয়াছিলেন, তাহা অনেকবার বলিতে চাহিয়াছিলেন, কিন্তু পারেন নাই। সেই অবধি “অবাঙামানসগোচরেস্পর কথা বলিতে যাইয়া তিনি একবার গদাধর আর একবার শ্ৰীমান পণ্ডিতের কঁধে ঢলিয়া পড়িয়া মূচ্ছিত হইয়াছিলেন। একবার তিনি বলিয়াছিলেন- “সর্বত্র তাহার রূপ করে ঝলমল । সে দেখিতে পারে যার আঁখি নিরমিল * ( গোবিন্দদাসের করাচা ) । তিনি কি দেখিয়াছেন বলিতে পারেন নাই, বলিতে গেলে আনন্দাধিক্যে তিনি মুচ্ছিত হইয়াছেন । কিন্তু যাহাই দেপুন না কেন, তাহার ফলসম্বন্ধে দ্বিধার কোন কারণ নাই। এই দেখার ফলে তিনি কৃষ্ণকেলী ধুতি ছাড়িলেন ; আমলকী দিয়া যে দীর্ঘ বক্রান্ত সুকেশ মার্জনাপূর্বক ফুলমালায় জড়াইয়া রাখিতেন, সে কেশসজ্জা দূর হইল - পালঙ্ক ছাড়িয়া ভূমিশয্যা লইয়াছিলেন, তাহার যে শরীর চন্দন, অগুরু, কস্তুরী দ্বারা সুবাসিত হইত, তাহ ধূলায় ধূসর হইল । সে কণ্ঠে আর সুবৰ্ণ মাদুলী স্থান পাইল না, এমন কি তিনি সন্ধ্যা, আহ্নিক, শালগ্রাম-সেবা প্রভৃতি ব্ৰাহ্মণের নিত্যকৰ্ম্ম সকলই ছাড়িয়া দিলেন। কোন শব্দ শুনিলে ‘কে এল, কে এল' বলিয়া উদ্ধে দৃষ্টিপাত করিতেন, চক্ষে আবিরল অশ্রুধারা ; একবার ঘরে আর একবার বাহিরে যাতায়াত করেন-“পুনঃ পুনঃ গতাগতি কর ঘর পন্থ। ক্ষণে ক্ষণে ফুলবনে চলহ একান্ত ।” মাথার চুল আলুলায়িত, শ্লথ বসনে শচী দেবী তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ ছুটিতেন, কিন্তু মাতার দিকে আর তাহার দৃষ্টি নাই। “না করে স্নান গোরা না করে ভোজন, না করে শ্ৰী অঙ্গে বেশ তৈল উদ্বাৰ্ত্তন |* যিনি জীবন-মরণের সখা, জীবের অনন্যশরণ, যাহার সৌন্দর্ঘ্যের কণিকা-প্ৰসাদ পাইয়া জগৎ সুন্দর—তাহার প্রথম রূপদৰ্শনে চৈতন্যদেবের এই অবস্থা দাড়াইয়াছিল। এই ভােব ক্ষণিক নহে-ইহা তাহার জীবনব্যাপী ছিল । চণ্ডীদাস চৈতন্য জন্মিবার পূর্বে র্তাহার আগমনী গাহিয়াছিলেন-শ্রেষ্ঠ কবিদের চিত্ত মুকুর-স্বরূপ, তাহাতে আগন্তক দৃপ্ত প্ৰতিবিম্বিত হয় । এ সকল কি গুঢ় আধ্যাত্মিক নিয়মে ঘটয়া থাকে, তাহা কে বলিবে ? তিনি যাহা দেখিয়াছিলেন, তাহা আমরা দেখি না কেন ? ፵°iፃ•ሽግ !