পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুসমাজ ও বৈষ্ণবধৰ্ম্ম W96 মুখবন্ধন, ( সাপের মুখ কি উপায়ে বন্ধ করা যায় )। তাছা শিখিয়াছি। সন্ন্যাস-গ্ৰহণকালে গুরুজনের গঞ্জনা শুনিতে হইবে-পরিজনেরা বাধা দিয়া উপদেশ দিৰেন-তজন্য এখন হইতেই প্ৰস্তুত হইতেছেন, “গুরুজন বচন বধির সম মানই আন শুনাই কহি আন। পরিজন বচনে মুগন্ধি সম হাসই গোবিন্দ দাস পরমাণ।” গুৰুজনের কথা শুনিলে বধির হওয়ার ভান করেন-এক কথা শুনিয়া আর কথার উত্তর দেন। পরিজনের কথা শুনিলে মুগ্ধার (পাগলের) ন্যায় হাসেন-গোবিন্দ দাস ইহার সাক্ষী । বর্ষার অভিসারের গোবিন্দদাসের কি বৰ্ণনা ! শব্দের ললিত ঝঙ্কার ও ভাবের গুরুত্বে তাহাদের তুলনা নাই। পঙ্কিল বাট (কর্দমাক্ত পথ), মন্দির-বাহিরে কঠিন কপাট, তাহার উপর দূরতর আকাশ বাহিয়া বাদলের ধারা আমাসিতেছে, হে সুন্দরি, তোমার একখানি নীল শাড়ীর আঁচল দিয়া কি এই দুৰ্য্যোগ ঠেকাইয়। রাখিতে পরিবে ? আবার পরীক্ষণেই বিদ্যুৎ যেরূপ এক মুহুৰ্ত্ত চমক দিয়া মৰ্ত্ত্যবাসীকে স্বৰ্গ দেখাইয়া দেয়, সেইরূপ একটি মাত্র পূর্ণ সঙ্কেতে কবি আধ্যাত্মিক রাজ্যের ইঙ্গিত দিয়াছেন "হরিরাহ মানস সুরধুনী পার। সুন্দরী কৈছে করবি অভিসার ?” কি ভাবে এই দুৰ্য্যোগে অভিসারে যাইবে, হরি মন-গঙ্গার অপর পারে-ইন্দ্ৰিয়াতীত রাজ্যে। এই যে সৌন্দৰ্য্য, এই যে দুশ্চর তপস্তার কথা—এ সমস্তেরই প্রেরণা দিয়াছিলেন চৈতন্যদেব । তঁহরে জীবনের অলৌকিক প্রেমের লীলা, অশ্রুর একটি সুরধুনীর ন্যায়, কিন্তু সে বেগশালী স্রোত দুশ্চর তপস্যার শৈলভেদ করিয়া আসিয়াছিল। তাহার জীবনের কৃচ্ছ ঢাকা পড়িয়াছিল, তঁহার দুইটি বিকশিতশতদল প্ৰভ সজল চক্ষুন্ন অন্তরালে ; লোকে তাহাঁই দেখিয়া ভুলিয়াছে। কিন্তু শতদলের নীচে ভুজঙ্গশয্যা-পঙ্কের ভিত, তাহা কে দেখিয়াছে ? কত উপবাস, কত অনিদ্রা, কত দুৰ্গম ভ্ৰমণ, কত বিপদ-সেগুলি তাহার জীবনে সের উৎস ও প্ৰফুল্লতার হানি করিতে *itद्र भरे । এই পদাবলী ও কীৰ্ত্তন-সাহিত্য একটি খরস্রোতা নদীর ন্যায় ছুটিয়াছে। ইহার দুইকুলে কত উপবন, কত লোকালয়, কত মধুর প্রাকৃতিক দৃশ্য,-কিন্তু ইহা যেখানে যাইয়া LDDDYSLDBBB DBD DBBDD DDS DBYDS LLOD DY0LD নিশ্চল প্ৰশান্ত চির রহস্যময় মহাসমুদ্র। ইহার প্রত্যেক তরঙ্গ সেই আধ্যাত্মিক অভিযানের ইঙ্গিত দিয়া ছুটয়াছে। --ইহাতে যদি কিছু মলিনতা থাকে, তাহা ইহার চির-অমল প্রেমের উৎসের ঘূর্ণপাকে কোথায় চলিয়া গিয়াছে—তাহার ঠিকানা নাই। বিদ্যাপতির রাধা বলিয়াছিলেন, কৃষ্ণ, আমি তোমাকে আমার সর্বস্ব দিয়াছি । তোমাকে uDB S Bi BBDS DLDuDu ttt DDSS S DBDBDB BBBE DBDD DBD BB DiEE g আত্মসমর্পণের কথা বলিয়া শেষে কবি বলিয়াছেন “মাধব তুহু কেছৈ কহৰি মোয়”-আমি সৰ্ব্বস্ব দিয়াছি সত্য, কিন্তু কাহাকে দিয়াছি তাহা জানি না । তুমি কেমন তাহা আমাকে বলে । সাধনার এই দুশ্চর তপস্তার পর একি প্রশ্ন ? ব্রহ্মের স্বরূপ-জিজ্ঞাসা । DLDuO DDSuBBBBB EBB BBB BBD BD DBDS S DDDD DS ttDD S LLLuDD C3T - 1