পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yn ;ア পালরাজত্বের নানাকথা, বাঙ্গলার অপরাপর রাজবংশ TRYS কুল-চত্রিকা” এই দুই পুস্তকই এখন বৈদ্য-গণের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন কুল-গ্ৰন্থ। শেষোক্ত পুস্তক ১২২৭ শকে (১৩০৫ খৃঃ) রচিত হয়। সদ্বৈদ্য-কুল-চন্দ্ৰিক হইতে আমরা জানিতে পারিয়াছি, মহারাজ ভীম সেন ১১৫৮ হইতে ১১৯৬ শক পৰ্য্যন্ত রাজত্ব করিয়াছিলেন ( ১২৩৬১২৭৪ খৃঃ) )। ইনি বল্লালের প্রপৌত্র। গ্ৰন্থকৰ্ত্তা জয়সেনের কন্যা কমলা দেবীকে ভীম সেনের পুত্ৰ কাৰ্ত্তিক সেন বিবাহ করেন। সুতরাং সেনরাজত্ব সম্বন্ধে তাহার ঘনিষ্ট অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান থাকিবার কথা । আমরা স্থানান্তরে “সদ্বৈত্ব-কুল-চন্দ্ৰিক” হইতে আর অনেক কথা উদ্ধৃত কৰিব। কুলশাস্ত্ৰ নানা প্ৰতারকের হাতে পড়িয়া বিড়ম্বিত হইয়াছে। ফুৰ্জয় দাস ও জয় সেন বিশ্বাস যে দুইখানি কুল-গ্ৰন্থ লিখিয়াছিলেন, খুব প্ৰাচীন পুথি না পাওয়া পণ্যস্থ -উত্ত পুস্তক জ্বয়ের সকল অংশ আমরা বিশ্বাস করিতে পারি না। এই দুইখানি পুস্তকই গীতাচাৰ্য্য মহাশয় শীঘ্ৰ প্ৰকাশ করিবেন, তখন সুধীগণ ইহাদের উক্তির সত্যতা সম্বন্ধে বিচাৰ করিবেন ; আমি তজ্জন্য প্ৰস্তুত হই নাই। কুলজী অনুসারে, মহারাজ ভীম সেন ১২৭৪ খৃষ্টাব্দে প্ৰাণত্যাগ করেন। এদিৰুে আমরা সাভারের শিলালিপিতে হরিশ্চন্দ্র রাজার পুত্ৰ মহেন্দ্রের মন্দির নিৰ্ম্মাণের তারিখ ১৩৭৫ খৃষ্টাব্দ পাইলাম। মহেন্দ্ৰ বৃদ্ধ বয়সে মন্দির স্থাপন করিয়াছিলেন বলিয়া মনে হয়। এদিকে ভীমসেনের জন্মতারিখ পাওয়া যায় নাই,--তাহা দ্বাদশ শতাব্দীর কোন সময়ে হইতে পারে । ভীম হইতে মহেন্দ্ৰ পঞ্চম পুরুষ, সুতরাং বল্লাল প্রপৌত্র ভীমসেন এবং সাভারের লিপি-কথিত ভীমসেন একব্যক্তি হইতে পারেন। বল্লালের তারিখ সম্বন্ধে অনেক মতান্তর আছে। গোপাল ভট্ট রচিত বল্লালচরিতে “রাজবল্লভ” বলিয়া ষে ভীমসেন উল্লিখিত হইয়াছেন, তিনিও এই ব্যক্তি কি না বলা যায় না। তাহাতে দ্বিধার কারণ এই উহা বিশ্বাস করিতে হইলে ভীমসেনের বয়ঃক্রম অপরিমিতরূপ বেশী হইয়া পড়ে। এই সকল তারিখ সম্বন্ধে হস্তলিখিত পুথির পাঠ অনেক সময়েই অবিশ্বাস্ত। যখন তারিখটি গ্ৰন্থকার অঙ্কের অক্ষরে প্রদান করেন, তখন অনেক সময়েই নকলকারীর ভ্ৰমে তাহা অন্যরূপ হইয়া হয়। সাঙ্কেতিক শব্দ প্রয়োগ করিলেও সেই সকল শব্দের প্রায়ই নানারূপ অর্থ করা হয়। সুতরাং এ বিষয়ে বাগবিতণ্ড ত্যাগ করিয়া মোটামুটি আমরা জয়সেন বিশ্বাসেক্ত ভীমসেন এবং সাভারের লিপির ভীমসেন এক ব্যক্তি কি না সেই প্রশ্ন উত্থাপন করিতেছি। টেপলটন সাহেব ও নলিনীকান্ত ভট্টশালী মহাশয় সেন রাজগণের সঙ্গে সাম্ভারের রাজ, পরিবারের সংস্রব অনুমান করিয়া প্রথমতঃ লিপিিট কতকটা দ্বিধার সহিত খাট বলিয়া গ্ৰহণ করিতে উম্ভত হইয়াছিলেন,-তারপর সে মতের পরিবর্তন করিলেন। শিলালিপিয় গ্রামাণ্য তাহাঙ্কাৰীক্ষায় করিতে এখন কুষ্টিত। এতৎ সম্বন্ধে আমার সুদীর্ঘ পন্ধে জবাব দিতে না পান্ধি সেই চিঠির মাত্র কিয়দংশ ঢাকা রিভিউ পত্রিকায় প্রকাশ করিলেন, অপরাংশ শািন্ত্রকাশ কছিলেন না, গুীহাৱাই জানেন। বলা বাহুল্য, এ বিষয়ে ষ্ট্রেপল্টন সাহেব