विभक्ता निश्छ । xOxOxO ። *** দাখিল ;-সে চক্ষু মুদিল । যখন সে চক্ষুরুন্মীলন করিল,-তখন দখিল, বিমল সিংহ কোথায় চলিয়া গিয়াছেন । ধূলারাশি নগরের আরও নিকটস্থ হইয়াছে;—বোধ হয়, অদ্ধ টকার মধ্যে বাদসহ নগর দ্বারে উপস্থিত হইবেন । আর এক । হুৰ্ত্তও সময় নষ্ট করিবার অবসর নাই! সলাবত খ্যা হামিদাকে ইয়া, দ্রুতপদে দূরস্থ গ্রামের দিকে প্রস্থান করিলেন। বান্দরী লালী সহরের ভগ্নস্তুপ মধ্যে অন্তৰ্হিত হইল। তখন মহম্মদস্নান দ্রুতপদে একটা গৃহমধ্যে প্রবেশ করিল । পাচ মিনিট,- দশ মিনিট,-অতীত হইয়া গেল ;- সে আর বাড়ী হইতে বাহির $ইল না ! কিয়ীক্ষণ পরে সেই বাড়ী হইতে মসজিদের বৃদ্ধ মৌলভী নারি, হইয়া আসিয়া বলিলেন, “দেখিতেছি, বাদসহ আরও নিকটস্থ ইয়াছেন।” বিমল সিংহ ভগ্ন সহরে প্রবেশ করিয়া, বরাবর সলাবত খ্যার গৃহে প্ৰবেশ করিলেন। তঁহার গৃহের দ্বার উন্মুক্ত,-বাড়ী জনশূন্য হইয়া পড়িয়া আছে। বিমল সিংহ গৃহের পর গৃহ উত্তীর্ণ হইয়া, অট্টালিকার পশ্চাৎ দিকে আসিলেন ;-অমনই কোথা হইতে ব্যাকুলভাবে লুলিয়া, ছুটিয়া, তাহার কাছে আসিয়া বলিল, “দাদা মহাশয়, দাদা মহাশয়-” । বিমল সিংহ হাসিয়া বলিলেন, “লুলিয়া, তোমার দাদা মহাশয়ের কেশ স্পর্শ করে, এমন ক্ষমতা এ পৃথিবীতে কাহারও নাই!” লুলিয়া বলিল, “আর-আর-হামিদ,-মহম্মদজান--” “মোগলেরা তাহাদের ছাড়িয়া দিয়াছে—সে ভারি মজা ।” “কি মজা,-আমায় বল ।” বিমল সিংহ হাসিতে হাসিতে গহরজানের দুর্দশার কথা বলিলেন। লুলিয়াও মহা আনন্দে হাসিতে লাগিল;-তাহার পর সেতু, Hall
