५८ कि कथं । ©8ዓ করিয়াছিলেন,- তাহার ভ্রাতা আজফ খাঁ বাদ্যসাহিকে যাহা বলিয়াছেন, তাহা তিনি সকলই শুনিয়াছিলেন। তিনি নিকটে আসিয়া বলিলেন, “আমি এ কথা বিশ্বাস করি না ।” জাহাঙ্গির নুরজিহানের মুখের দিকে চাচিয়া রহিলেন ;-বাদসাবেগম তাহার পাশ্বে বসিলেন,—স্বৰ্ণপাত্রে নিজ হস্তে সুরা ঢালিয়া দাদাসাহের মুখে ধরিলেন ;- বিলিলেন, “জাহাপনা,- পান করুন,- আমার বিশ্বাস সাহােজাদার দুই জনের এক জনও মরেন নাই!” জাহাঙ্গির কোন কথা কহিলেন না,~~নুরজিহানের মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন । তৎপরে ধীরে পীরে বলিলেন, “সব শুনিয়াছ কি ?”
- •নুর জিহান বলিলেন, “সব শুনিয়াছি। সব শুনিয়া আমার বিশ্বাস দুই সাহােজাদার একজনও মরেন নাই!” 晶、 一r
জাহাঙ্গির বিস্মিতভাবে বাদসাবেগমের মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন।. তিনি জানিতেন, নুরজিহান যত সম্বাদ রাখেন, তিনি র্তাহার শতাংশের একাংশ ও জানেন না।—তিনি ইচ্ছা ও জানেন, মুরজিহানেৰ যে বুদ্ধি আছে, তাহা তাহার দরবারে আর কাহারও নাই ; সুতরাং তিনি নুরজিহানের কথায় প্ৰথমে বিস্মিত হইলেন, ও তাহার পর তঁাহার কথাই সত্য বলিয়া তাহার বোধ হইল। প্রকৃতই দুই পুল্লের একদিনে মৃত্যু সম্বাদ শুনিয়া তাহার হৃদয়ে দারুণ আঘাত |- ছিল । নুরজিহানের কথায় তঁহার প্রাণ অতিশয় আশ্বস্ত হইল। যে দুঃখ সম্বাদ দেয়, লোকে সহজে তাঙ্গার কথা বিশ্বাস করিতে চাহে না ; – যে সুখের সম্বাদ দেয়, মন তাহার কথাই বিশ্বাস করিতে বাগ্ৰা হয়। জাহাঙ্গির বলিলেন, “তুমি কি সত্য সত্যই জানিতে পারিয়াছ যে, সাহােজাদা পরিবেস বা খুরম কেহই भरत नाहे ?” . . . . .
