পাতা:বেজায় রগড় - ভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেজায় রগড় מסי আহ!—কি কৰ্ব্বে বল ! ভালমামুষের ছেলের টাকার দরকার হ’ল— আমাকে তাই বেচে গেল— যো । তুই বিটা আমারে এ কথা কইস নাই ক্যান ? প। আমি কি কইব ? তুমি মাল খরিদ ক’রেছ—যাচাই ক’রে নাওনি কেন ? সেটা বুঝি আমার দোষ ? তুমি কি আমায় তখন কোনো কথা জিজ্ঞাসা করেছিলে ? তুমিও কিছু জিজ্ঞাসা করনি— আমিও কিছু তোমাকে বলিনি ! বলি, হিন্দুব বাড়ী না হয় চাকরিই ক’চ্ছি—ত ব’লে তো অার ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম ছাড়তে পারিন । যেখানেই থাকি না কেন, —দিনে তিনবার আমাদের আল্লানাম নিতেই হবে । ঝি। অরে আ মুখপোড়া মোছলমান ! আমাদের এমন সৰ্ব্বনাশ কল্লি কেন ? তোর হাতের ভাত খাইয়ে ইহকাল পরকাল সব খেলি রে সৰ্ব্বনেশে ? প। আবে চুপ কয় মাগী ! আজি কাল আবার হিন্দুদের জাতধৰ্ম্মের বিচার আছে ? কত বড় বড় বাৰুভায়াদের মুসলমানের রান্ন না হ’লে মুখে কিছুই রোচেনা। বাড়ীতে বাড়ীতে সব মাইনে করা বাৰুচ্চি রেখেছে—তা জানিস্ মাগী ? ঝি । আমি এখুনি থানায় চল্লম—এই বাঙালের নামে নালিশ কর্ব — মা ! অ জি—আরে র-র-র ! একটু চুপু চুপু কথা ক’ ৷ এখনি যদি পল্লীর লোকজন শুনে তো আমাগোর জাতি যাইবে— ষো। তোর পায়ে দরি—জি মা—রইক্ষা কয়—আমি যত টাহ লাগে দিমু—তোরে প্রাচিত্তির করামু—তোরে রাজরাণী কইর্য দ্যাশে পাঠায়ে দিমু—তোরে কাশী গয়া শ্ৰীক্ষাত্তর যা’বার খরচ দিমু । প। কর্তা । আর গোলমালে কাজ কি ? আজকে যখন রান্না