পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণী রায় । তঁহাকে জিজ্ঞাসা করিল, “বাবু, কাছিকাটার পণ্ডিত মশাই এর ব্ৰাহ্মণী আপনার এখানে আছেন কি ?” । চণ্ডী । কার কথা জিজ্ঞাসা করিতেছ ? লোচন। বেণী ঠাকুরের ব্ৰাহ্মণী, র্যাকে কামালপুরের খ্যা সাহেবেরা ধরিয়া লইয়া গিয়াছিল, তার খবর চাই, বাবু! এতদিন ধরিয়া চণ্ডী প্ৰসাদ যে রহস্তোদ্রেদ করিতে পারেন নাই আজ তাহা এইরূপে সহসা জানিতে পারিয়া তিনি পুলকিত হইলেন। কহিলেন, “বেণী ঠাকুরের ব্ৰাহ্মণী যে এখানে থাকিতে পারেন কে তাহা তোমাদিগকে বলিল ?” আগন্তুকদ্বয় তখন তাহদের সকল অনুসন্ধানের কথা তীহাকে জানাইল। সবিশেষ শুনিয়া তিনি উহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “ঠাকুর মশাই এখন কোথায় আছেন বলিতে পার কি ?” কৃষ্ণ । তিনি মা ঠাকরুণের শোকে কোথায় যে চ’লে গেছেন তা কেউ জানে না। চণ্ডী । তার বাড়ীতে কেউ আছে ? কৃষ্ণ । ছিল সবাই, এখন কেউ নাই। টোল উঠে গেছে, ছেলেরা চলে গেছে, মেয়েটিকে ঠাকুর মশাই সার্তোড়ে রেখে গেছেন। ঘর দুয়ার সব শ্মশান হয়েছে । আহা, এমন লোকের ७थनन्न नक्षैनां शत्र ! চণ্ডী মনে মনে কহিলেন “ধন্য মা, তোমার দৃঢ়ত । স্বামীর ও কন্যার মঙ্গলের জন্য তুমি একটিবারও আপনার মঙ্গলের দিকে ফিরে চাও নাই, নিজের সুখ পায়ে ঠেলেছ! যে সব ভয়ানক No