পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ । বর্ষাঙ্গাত রৌদ্র উজ্জ্বল কনকাঞ্চলের ন্যায় দীপ্ত। একটা চোখ গেল পাখী “চোখ গেল”, “চোখ গেল” বলিয়া শূন্যে উড়িতেছে। নিম্নে ধুধু প্ৰান্তরে বেণী রায় “সব গেল” “সব গেল” বলিরা উধাও ভাবে ঘুরিয়া বেড়াইতেছেন। তাহার মনের অশান্তি কিছুতেই মিটিতেছে না, উদ্বেলিত হৃদয়সাগর কোনরূপে শান্ত হইতেছে না। ধীরে ধীরে রজনীর অন্ধকার চতুদিকে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িল। এমন সময়ে এক পাগল তাঁহাকে দেখিয়া হা হা রবে অট্টহাস্ত করিয়া বলিতে লাগিল, “এ কে ?-এ তো কঙ্কাল। সে মরে গেছে। আলো নিভে গেছে। আঁধারে যার উৎপত্তি আঁধারেই তার লয়। সমুদ্রতরঙ্গের সমুদ্রে উৎপত্তি, সমুদ্রেই লয়।-চারিদিকে সূচীভেদ্য অন্ধকার, তাহাতে সে জ্যোতিঃ, মেঘের ভিতর বিদ্যুৎ । এই তাহার ক্ষুদ্রণ, এই নিৰ্বাণ'-যেখানে দিন ছিল না, ছিল কেবল রাত্রি, অনন্ত রাত্রি, ঘোর তমিশ্ৰ, সেখানে সে বিদ্যুৎচমক । বিদ্যুতের মত ক্ষণিক, কিন্তু আগুনের ঝলকা, ক্ষুদ্র হইলেও বহিবিকাশ। আিজ অগ্নিময়, অগ্নিস্ফুলিঙ্গও অগ্নিময়, উভয়ই আঁগ্নি। যেমন এক জলেরই বাস্পতরঙ্গাদি রূপ, এক মৃত্তিকারই ঘটকুস্তাদি রূপ, এক স্বর্ণেরই কুণ্ডলমালাদি রূপ, এক তন্তুরই বস্ত্ৰোত্তরীয় প্রভৃতি রূপ, তেমনি এক বিশাল সত্ত্বেরই দেবীদাস-বেশী রায় BDDuDB BDJSiDBDBD DDS DBD DB DBDBD SLBBS S) 0 $8(r