পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ দিলেন । দ্বার চাপা পড়িয়া রূপা-রাজা মারা গেল । মেঘ তখন তারাপুকুর ছাড়িয়া সাতগা রক্ষা করিতে গেল। যেখানে প্ৰজাবিদ্রোহ, সে জায়গা রক্ষা করা দায় । সে পারিল না । রণশ্বর অনায়াসেই সাতগাঁ দখল করিলেন । মেঘ তখন মহাবিহারে আশ্ৰয় লইল । মেঘা দুই তিন মাস ধরিয়া সদৰ্পে মহাবিহার রক্ষা করিল । রণশ্বর ধরমপুর বিহার অধিকার করিয়া, তাহার চারিদিকে তাম্বু গাড়িয়া, উত্তর-দ্বার আটকাইয়া বসিয়া রহিলেন ; কিন্তু সে খাই পার হইতে পারিলেন না। দুই তিন মাসের পর হরি বম্ম যখন সদলবলে গঙ্গা বহিয়া পুৰ্ব্ব-দ্বার আটকাইলেন, তখন মেঘ মহাবিহার শক্রিহস্তে সমর্পণ করিয়া বিষ্ণুপুর প্রস্থান করিল। গুরুপুত্ৰ মহাবিহারের চাবি হরি বম্মার হাতে দিলেন । হরি বম্মা প্ৰবেশ করিতে চেষ্টা করিলে, ভবদেব তাহাকে বাধা দিয়া বলিলেন, “ধৰ্ম্মস্থানে কোন অত্যাচার না হয়, সেটা আপনার দেখা উচিত। আপনি জানেন, আপনার পনর-আনা প্ৰজা বৌদ্ধ । DDLDBBDS BBDD S B SSLDBBKS DBLD DBBD ttt গুরুপুত্র এতদিন রূপা-রাজার রাজ্যে বিহারের অধিকারী ছিলেন ; এখন তিনি আপনার রাজো বিহারের অধিকারী ; বিহারের ভার তাহার হাতে যেমন ছিল, তেমনি থাকুক।” 8 এদিকে মায়া সব ভুলিয়া জীবন ধনীর যে মূৰ্ত্তি তৈয়ার হইতেছে, তাই দেখিতে লাগিল ও তাহাতেই তন্ময় হইয়া রহিল। ক্রমে পক্ষ মাস অতীত হইয়া গেল, মুষ্টি ঠিক জীবন ধনীর জীবন্ত মূৰ্ত্তির মত দেখাইতে লাগিল। তাহার পর তাহার গায়ে রঙ দেওয়া হইল। রঙটি