ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ লইয়া যজ্ঞ হইত। তাই আদিশূর। পাঁচ জন ব্ৰাহ্মণ চান ; যশোবন্মাও পাঁচ জন ব্ৰাহ্মণ পাঠান। রাজারা এই পাচ জনের সন্তান-সন্ততিকে অনেক গ্রাম দেন । বাৎস্ত গোত্রের ব্ৰাহ্মণদের একজন কাঞ্জিবিদ্বী নামে একখানি গ্রাম পান। সে গ্রামে ব্ৰাহ্মণদের বংশ বিস্তারও হয়, বিদ্যাবুদ্ধির দেশও খুব হয়। আবার রাজারা সেই গ্রামের নিকটে নিকটে ঐ ব্রাহ্মণদের আরও চারি পাঁচখানি গ্ৰাম দেন। গ্রামগুলির নাম তালবাড়ী, চতুর্থ খণ্ড চোটখণ্ড ), পিশাচখণ্ড, রাণীডলা ও হিজলবন । এই সকল গ্রামেই কুলীন ব্ৰাহ্মণদের বাস হইয়াছিল। যিনি পিশাচখণ্ড পাইয়াছিলেন, তাহার দুই পুত্র হয়। এক পুত্র নিঃসন্তান অবস্থায় গত হন, আর একজনের পুত্র আমাদের মস্করী। মঙ্কর গ্রামের গ্রামীণ বা গা ক্ৰী ; সুতরাং তঁাহার অর্থের অসদ্ভাব নাই। নামে কতক গুলি কুমার, গোয়ালা ও শুড়ীর বাড়ী।। তাতাদের কুল কৰ্ত্তী মঙ্গরী । মঙ্করীর পৈতৃক সম্পত্তি বেশ 'ঈল । আর একখানি গ্রাম তাহার নিজের । রাজাকে করে দিতে *য় না, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ রাজার। সমস্ত গ্রামের উপস্বত্বই মাস্করীর । মঙ্করী পণ্ডিত ও খুব ভাল, শাস্ত্র ও কাবা দু’য়েতেই তঁাতার প্রগাঢ় পুৎপত্তি। তাহার উপর নাচ-গান, এমন কি, চৌষট্রি-কলায় তাতার মত নিপুণ লোক খুব কমই দেখা যাইত। তবে তিনি কিছু শ্ৰাদ্ধানন্দী। থ্রামের মধ্যে অথবা নিকটে শ্ৰাদ্ধ উপস্থিত হইলে, কতকগুলি লোক আছেন, তঁাহাদের বড় আনন্দ । তাহারা সর্বদা শ্ৰাদ্ধের খোলায় উপস্থিত থাকেন ; পরামর্শ দেওয়া, সাহায্য করা, খাটা-খাটনিতে তেঁাহাদের বিশেষ আনন্দ । সেই জন্য লোকে তঁাকাদের শ্ৰাদ্ধানন্দী বলে । শব্দটার অর্থ ক্রমে বাড়িয়া গিয়াছে। পরের কাজে, বিশেষ আমোদ-প্ৰমোদের কাজে লাহাব আনন্দ, লোকে তঁাহাকেই শ্ৰাদ্ধানন্দী বলে। অতি প্ৰাচীনকালে বড় বড় সহরে নাগর বলিয়া একদল লোক থাকিস্ত । তাহারা পৈতৃক ?ኃ 8¢
