পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়ােদশ পরিচেছদ রাজাধিরাজ সকলের কাৰ্য্য দেখিয়া পুরস্কার দিবেন। “গুণিজন-খানা নামে এক নূতন খানা হইবে। তাহাতে নিঃস্ব গুণিজনের গ্ৰাসাচ্ছাদনে ব্যবস্থা করা হইবে। এই পরীক্ষায়, মহারাজ, হিন্দু, বৌদ্ধ, ব্ৰাহ্মণ কায়স্থ, আচারী, অনাচারী কোন প্ৰভেদই থাকিবে না। ;--কেবল গুণের বিচার হইবে। পূর্বে পূর্বে বড় বড় রাজারা এইরূপ রাজসভা করিতেন এইরূপ সভা হইতেই কালিদাস পুরস্কার পাইয়া বড় হইয়াছিলেন ; পাণিনি --পিঙ্গলও বড় হইয়াছিলেন । মহারাজ, স্ট্রীলোকদিগেরও আপনার সভায় পরীক্ষা দিবার ব্যবস্তা করিতে হইবে।” মহারাজাধিরাজ বলিলেন, “তথাস্তু।” ভবদেব বলিলেন, “পিশাচখণ্ড: তুমিই যথাৰ্থ ব্রাহ্মণের মতে দান চাহিয়াছ ।” | R || বৌদ্ধদের অধঃপাতে গুরুপুলের বড়ষ্ট মন্মান্তিক হৃষ্টয়াছে। রূপারাজার মৃত্যুতে তিনি যেন আর একবার পিতৃহীন চইয়াছেন। মেঘ যখন সব সৈন্য লইয়া মহাবিহারে আশ্ৰয় লয়, তখন গুরুপুত্ৰ প্ৰাণপণে তাহার সাতাষ করিয়াছিলেন। বড় বড় গোলা-ভরা ধান ছিল, সব মেঘাকে দিয়া দিয়া ছিলেন ; নিজে যুদ্ধেও নামিয়াছিলেন। দুই মাস তাহার আহার-নিদ্র ছিল না । কিন্তু যখন দেখিলেন, আর রক্ষা হয় না, তখন মেঘাকে বলিলেন, “তুমি পশ্চিম দ্বার দিয়া পলাও, আমি পূৰ্ব্বদ্বারে গিয়া হরিবল্মার হাতে দুর্গ সমর্পণ করি।” দুর্গের চাবি পাইয়া হরিবল্মা কি করিয়াছিলেন, পূর্বেই তাহা বলা হইয়াছে। গুরুপুত্ৰ এখন মহারাজাধিরাজ হরিবল্মার বিশাল সাম্রাজ্যে মহাবিহারের অধিকারী। রাজা বিধৰ্ম্মী। তিনি বিষ্কার রক্ষা করেন বটে, কিন্তু বিহারের উপর তাহার কিছুমাত্র আস্থা নাই । একটি মুখের কথায় বিচারের ৩০ খানি গ্ৰাম কাড়িয়া লইয়াছিলেন। 8