পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ । হইয়া উঠিলেন। তাঁহার মনের আরশীতে মায়ার যে ছবি ছিল, তিনি সে ছবিতে আর তৃপ্ত থাকিতে পারিলেন না । এখন হইতে বিহারী দত্তের মেয়ে মায়া আবার তাঁহার জপমালা হইল। কিন্তু হায়, সেকাল আর একাল । তখন তিনি রাজার গুরুপুত্র, এমন কি, গুরু বলিলেও হয়। আর বিহারী একজন সামান্য প্ৰজা । বিহারীর মেয়ে তা’র চেয়েও সামান্য । এখন বিহারী রাজা, বিহারীর মেয়ে রাজকন্যা। আর তিনি-এক বিধৰ্ম্মী, ঘুণিত, পদদলিত সম্প্রদায়ের গুরু । এখন তাঁহার পক্ষে মায়ার কামনা বামন হইয়া চাদে হাত। কিন্তু যৌবনের উদাম বাসনার গতি কে রোধ করিতে পারে ? তিনি জানেন, তিনি ভিক্ষু এবং এ সকল কামনা ভিক্ষুর উচিত নয়। “কিন্তু ভিক্ষু চাইলেও এখন ত সকলেই শক্তি লয়। শক্তি ভিন্ন ত সাধনাই হয় না। সুতরাং আমার ও শক্তি চাই, উপযুক্ত শক্তি চাই। বলপূর্বক শক্তি লওয়া চাই। ইচ্ছাপূর্বক যে আসিবে, তাঙ্গাতে আমার শক্তির বিকাশ কই ? পরকীয়া শক্তি ভিন্ন শক্তিই হয় না । ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধরিয়া না আনিলে, সে শক্তির দ্বারা সাধনা হইবে কিরূপে ?” 9 মায়াদের গোলা গঙ্গার এক বঁাকের মাথায় । সে দরজা দিয়া গোলায় ঢুকিতে হয়, সেটা খুব উচা। লোকে হাতীর পিঠে গোলার ভিতর ঢুকিবে, এই মত করিয়া দরজা হইয়াছে। দরজার মাথার উপর দুই-তালা ঘর আছে। প্রথম তালার সামনে গঙ্গার দিকে একটি ঝরকা আছে। ঝরকাটি দেওয়ালের বাহিরে। সেখানে বসিলে তিন দিক দেখা যায়। মায়া প্ৰাম্ভীরুত্য শেষ করিয়া এইখানে বসিয়া গঙ্গা দর্শন করিতেন। আবার সন্ধ্যায় সময়েও এইখানে বসিয়া গঙ্গাদর্শন করিতেন। সম্মুখে প্ৰকাণ্ড নদী, সমুদ্রের একটা হাতের মত ডাঙ্গায় আসিয়া ঢুকিয়াছে। মায়া গোলায় S8S