পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে থাকিয়াই সকলকে অভ্যর্থনা করিতেছেন ও মিষ্টবাক্যে আপ্যায়িত করিতেছেন। উঠানের উত্তরে চণ্ডীমণ্ডপে হােমের জায়গা হইয়াছে। উঠানের চারিদিকে চারি দেউড়ীতেই বাজনার রোল উঠিয়াছে । কোন দেউড়ীতে ঢাকা, ঢোল ও কঁাসি ; কোন দেউড়ীতে, দামামা, দগড় ও বাঁশী ; আর এক দেউড়ীতে দুন্দুভি, করতাল ও ঝােঝ ; আর এক দেউড়ীতে-মৃদঙ্গ, বীণা ও করতাল। যখন সব দেউড়ীতে একত্ৰ বাজিতেছে, তখন শব্দের রোলে আকাশ ফাটিতেছে। চণ্ডীমণ্ডপে পোষ্যপুত্ৰ গ্ৰহণের জায়গা হইয়াছে। চণ্ডীমণ্ডপের ঠিক মাঝখানে ঘটস্থাপন করিয়াছে। একটা কলসী, তাহাতে জল পোরা : তাহার উপর আমপল্লব, তাহার উপর একটি ডাব ও কলসীর সম্মুখদিকে তিনটি সিন্দূরের রেখা। চণ্ডীমণ্ডপের ডানদিকে হোমের উদ্যোগ হইতেছে ও বাদিকে আভু্যদয়িক তইতেছে। সপ্তশতী ব্ৰাহ্মণের মণ্ডীমণ্ডপেস্ট কৰ্ত্তা। মুল্লােক মহাশয়, ধরধৱ মহাশয় ও ফরািফর মহাশয় খুব ঘুরিয়া বেড়াইতেছেন ; চাকরীদের খুব ধমক দিতেছেন ; মায়া সেখানে আছেন, তাহার উপরও খুব তখী হইতেছে। চণ্ডীমণ্ডপের দাওয়ায় উত্তররাঢ়, দক্ষিণরাঢ়, বারেন্দ্ৰ, মিথিলা ও উৎকল প্ৰভৃতি নানা দেশের কৰ্ম্মকাণ্ড পণ্ডিতেরা বসিয়া আছেন ও কি পদ্ধতিতে পোষ্যপুত্ৰ লওয়া হয়, তাহাই দেখিতেছেন। একজন দক্ষিণ রাঢ়ী পণ্ডিত বলিয়া উঠিলেন, “স্ত্রী কর্তৃক ক্রিয়ায় আভু্যদয়িকের নিয়ম নাই ; এক্ষণে আভু্যদয়িক কেন হইতেছে ? তখন উভয় পক্ষের পণ্ডিতের মধ্যে খুব বিচার বাধিয়া উঠিল। এক জন বলিয়া উঠিল,-“স্ত্রীর প্রেতিশ্রাদ্ধেই অধিকার আছে ; অত্যুদয়দিকে তাহার আবার অধিকার কি ?” আর একজন বলিলেন,-“যদিই করিতে হয়, প্ৰতিনিধির দ্বারা করিতে হইবে।” এক জন বলিলেন,-“পুরোহিত প্ৰতিনিধি হইবেন।” আর এক জন বলিয়া উঠিলেন,-“সে কি ? বেণের Syo