পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে বসিয়াছেন ; আর মাতামহপক্ষের তিন জন সেই সারেই বসিলেন। আবার ব্ৰাহ্মণ-পণ্ডিতদের ভিতর গোল বাধিয়া গেল। অনেকে বলিলেন, “কলিতে পংক্তি-ভোজনের জন্য ব্ৰাহ্মণ মিলে না। সে জন্য দৰ্ভময় ব্ৰাহ্মণ দ্বারা শ্ৰাদ্ধ করা প্ৰথা হইয়া গিয়াছে। সারা বাঙ্গলা, মিথিলা, সরযুপার, নেপাল, উড়িষ্যা সব জায়গায়ই দৰ্ভময় ব্ৰাহ্মণ দিয়া শ্ৰাদ্ধের ব্যাপার। চলিয়া গিয়াছে। এখানে এ আবার কি ?” তখন বিধুভুষণ ফারুফব্রু বলিয়া উঠিলেন,-“প্রতি হাতে এরূপ আপত্তি করিলে ক্রিয়া পণ্ড হইয়া যাইবে যে ? আমার নবােবই বৎসর বয়স হইতে চলিল, বরাবর শূদ্রদের যে ভাবে কাৰ্য্য করাইয়া আসিয়াছি, এখনও সেই ভাবেই করাইব । তাহাতে ক্ৰটী হয়,-ধর, ঘাড় পাতিয়া লইব । অন্য দেশে কি আছে না আছে, তাহা দেখিবার দরকার নাই । আমরা সাক্ষাৎ নুগড়াচার্যের শিষ্য, তিনিই বেদের প্রথম টাকা লেখেন। তিনিই আমাদের দেশে আগাগোড়ী বেদ মুখস্থ করা বন্ধ করিয়া দিয়া যান। যে জাতির যেরূপে ক্রিয়া করিতে হইবে, তিনিই আমাদের শিখাইয়া যান ৷” নুগড়াচাৰ্য্যের নামে ও ফারুফরের ব্রাগে অন্যান্য কৰ্ম্মকাণ্ডীরা ঠাণ্ড হইয়া গেল। ক্রিয়া চলিতে লাগিল । এই যে সাত জন ব্ৰাহ্মণ বসিয়াছেন, ইহঁদের নাম পংক্তি। পংক্তি এক জনে হয়, তিন জনে হয়, পাচ জনে হয় ও সাত জনে হয়। সাত জনের অধিক ব্ৰাহ্মণ দরকার হয় না । শ্রাদ্ধেই পংক্তির দরকার হয় ; অন্য কিছুতে দরকার হয় না ; বাছিয়া বাছিয়া বেদজ্ঞ ব্ৰাহ্মণ আনিয়া পংক্তিতে বসাইতে হয়। কাণ, খোড়া, কুরূপ, কুৎসিত, ধবলওয়ালী, কুণ্ঠওয়ালা, কুনখী, কুন্দন্তী পংক্তিতে লইতে নাই। পংক্তির ব্ৰাহ্মণ বড় বাছিয়া লইতে হয় বলিয়া আৰ্য্যাবৰ্ত্তে দৰ্ভময় ব্ৰাহ্মণ চলিতেছে। কিন্তু দক্ষিণে এখনও বেদজ্ঞ ব্ৰাহ্মণ পাওয়া যায়, সেজন্য র্তাহারা পংক্তি হন ও ব্ৰাহ্মণ-পংক্তিতে বসেন। মায়া পুষ্প-চন্দন-বস্ত্ৰ-অলঙ্কার দিয়া ব্ৰাহ্মণদিগের S SpS