পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে A pharA দিকে গেলেন রাজা বিহারী দত্ত নিজে। আর দুই দিকে অনুমতি লইতে গেলেন দত্তবাড়ীর প্রাচীনের ও ধনীবাড়ীর প্রাচীনের। মস্করী মায়াকে লইয়া রাঢ়ী, বারেন্দ্ৰ, উৎকল ব্ৰাহ্মণদের অনুমতি লইয়া, যেখানে বৌদ্ধের। বসিয়াছিলেন, সেইখানে গেলেন। বৌদ্ধদিগের মধ্যে প্ৰধান পুরুষ গুরুপুত্ৰ। মায়া তাহার অনুমতি লাইতে আসিতেছেন, সঙ্গে মস্করী,-দেখিয়াই গুরুপুত্ৰ থিতামত খাইয়া গেলেন। তিনি কত কি ভাবিতে লাগিলেন, তাঙ্গার মন চঞ্চল হইয়া গেল । মায়ার কিন্তু গলা একবারও কপিল না । সে বলিল, “আচাৰ্য্য, মহাপণ্ডিত, মহাস্থবির, ভদন্ত, আমি একটি পোষ্যপুত্র গ্ৰহণ করিব, আপনারা প্ৰসন্ন মনে অনুমতি করুন।” গুরুপুত্ৰ মনে মনে বলিলেন, “কি শীকারই পলাইল ।” প্ৰকাশ্যে বলিলেন, “সে বিষয়ে আমাদের সম্পূর্ণ অনুমতি আছে। সাতগাঁয়ে একটি প্রধান ধনিবংশ রক্ষা হইয়া যাইবে, ইহাতে কে আপত্তি করিবে ?” মায় তাহার সম্মানের সিধা ও স্বর্ণ-মুদ্রা দিয়া গেলেন এবং অন্যান্য বৌদ্ধ মঠাধিকারীদেরওঁ সেইরূপ সম্মান করিয়া গেলেন । যাহারা অনুমতি লাইতে গিয়াছিলেন, তাহারা সকলে চণ্ডীমণ্ডপে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। মায়া সাধন ধনীর সম্মুখে দাড়াইয়া হাত জোড় করিয়া তাহাকে বলিতে লাগিলেন, “আপনার এই নূতন (পঞ্চম) ছেলেটির আজও চুড়াকরণ হয় নাই। আপনি এইটিকে আমাকে দিন। আমি ইহাকে পোষ্যপুত্র লাইব; ইহার দ্বারা আমার স্বামীর নাম ও গোত্র রক্ষা হইবে।” সাধন ধনী ছেলেটিকে কোলে করিয়াছিল, সে ছেলেটিকে মায়ার কোলে, দিবার সময় বলিল, “আমি এই ছেলেটিকে তোমায় দিলাম, ইহার দ্বারা তোমার স্বামীর নাম ও গোত্র রক্ষণ হইবে। তুমি ইহাকে মায়ের মত প্রতিপালন করিবে।” সাধন ধনী মনে করিয়াছিল, সে বীরের মত পুত্রটিকে দান করিবে, কিন্তু তাহ পারিল না। তাহার কণ্ঠস্বর বদলাইয়। Se”