পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ R ] তাহার পর ভোজনের পালা। গোলার দোতালার বারান্দায় বাহ্মণদের পাত হইয়াছে। প্ৰায় ৪৫ শত ব্ৰাহ্মণের জায়গা হইয়াছে। সাতশতীর ফলার করিবেন, অর্থাৎ লুচি, ছক্কা, মিষ্টান্ন খাইবেন। রাঢ়ীশ্রেণীর কেহ কেহ খৈ ও দৈায়ের ফলার করিবেন, কেহ বা শুদ্ধ ফল ও সন্দেশ খাইবেন। অনেকেই শূদ্রের বাড়ী জল পৰ্য্যন্ত গ্ৰহণ করিবেন না। পাত প্ৰায় প্ৰস্তুত, এমন সময়ে গোল উঠিল, ধনীদের গোলা গঙ্গার তিন শত হস্তের মধ্যে,- উতা গঙ্গাতীর। এখানে খাওয়াও যাইতে পারে না, দান লওয়াও যাইতে পারে না। ভাদ্রমাসের চতুৰ্দশীর দিন যতদূর জল উঠে, ততদূর গঙ্গার গর্ভ ; তাহার পর তিন শত হাত গঙ্গার তীর । তাহার পর গঙ্গার ক্ষেত্র । গৰ্ভ ও তীরে কাহার ও ভোজন করিতে নাই, দান ও লাইতে নাই । তবে যে মায়া ব্ৰাহ্মণগণকে সিধা ও স্বর্ণমুদ্র দিলেন, সেটা অনুমতি দেওয়ার সম্মান । “অদৃষ্টাৰ্থ তাক্ত দ্রব্য নহে,” সুতরাং দান নহে। গোলায় ত কিছুতেই খাওয়া হইতে পারে না । গোল উঠিলেই রাজা বিহারী গোলা হইতে একটু পশ্চিমে পালধি মহাশয়ের চণ্ডীমণ্ডপের সম্মুখে যে প্ৰকাণ্ড নাটচালা ছিল, সেইখানে ব্রাহ্মণ-ভোজনের ব্যবস্থা করিয়া দিলেন। তঁাতার লোকবলের অভাব ছিল না, মুহুৰ্ত্তমধ্যে ৪৫ শত ব্ৰাহ্মণের স্থান প্ৰস্তুত হইল, পরিবেশনাও হইয়া গেল। অনেক ব্রাহ্মণ-যাহারা শূদ্রান্নং শৃন্দ্রবেশ্মানি খাইতে রাজী ছিলেন না, ব্ৰাহ্মণের বাড়ীতে উদ্যোগ হওয়ায় তাহারাও বসিয়া গেলেন । গোলার বারান্দায় অন্যান্য জাতি বসিল । ইহারা, বিহারীর কাজ যে সবই ভাল হইবে, তাহা বেশ জনিত, তাই একটি কথাও কতিল না। YA )