পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্দশ পরিচ্ছেদ Farra var [ཤ] সমস্ত নিমন্ত্রিত লোক বসিয়া গেলে ছেলের কথা মায়ার মনে পড়িল । সে ছুটয়া চণ্ডীমণ্ডপে গেল, দেখিল বিছানার উপর ছেলে খেলা করিতেছে। ৪৫ জন চাকর-চাকরাণী তাহাকে খেলা দিতেছে। মায়া গিয়াই ছেলেটিকে কোলে করিল ও মুখে চুমা খাইল ; বলিল,-“আমি তোমার কে বল দেখি ?” সে বলিল, “নূতন মা।” “তোমার নূতন বাবা দেখিবে ?” ছেলে বলিল,-“নূতন মা, নূতন বাবা, দেখিব বই কি-কই ?” মায়া বলিল,— “চল দেখাই গে ।” ছেলে কোলে করিয়া সে একলা গঙ্গার ধারেই যে এক সারি ঘর আছে, সেই দিকে গেল। একটা ঘরে ঢুকিয়া সেই ঘরের ভিতর দিয়া আর এক ঘরে গেল । গঙ্গার ধারের বড় জানালা খুলিয়া দিল, আলো আসিলে জীবন ধনীর পিশাচখণ্ডের সেই প্ৰতিমাখানি দেখা গেল । সে প্ৰতিমা এখনও ঠিক তেমনি আছে। কেন না, পিশাচথণ্ডের একজন কুমার আসিয়া প্ৰতি সপ্তাহে রং চাটিলে রং দিয়া যায়, মাটী চটিলে মাটিা দিয়া যায়। প্রতিমার সম্মুখে মায়া গলায় কাপড় দিয়া প্ৰণাম করিল, ছেলেকেও বলিল-“নম কর।” ছেলে ও মাটীতে মাথা ছোঁয়াইয়া নমস্কার করিল। সে ঘরে ধূপ-ধূনা, ফুল-চন্দন, দূৰ্ব্বা, আলো চাউল, অগুরু-গুগৃগুল সৰ্ব্বদা তয়ারি থাকে। মায়া ফুল-চন্দন ধূপ-ধূনা দিয়া প্ৰতিমা পূজা করিল, খানিক কপূর জালাইয়া আরতি করিল, তার পর হাত জোড় করিয়া বলিল-“তোমারই হুকুমে তোমারই নাম ও গোত্র রক্ষার জন্য তোমারই জ্ঞাতি সাধন ধনার এই ছেলেকে আমি পোষ্যপুত্ৰ লইয়াছি। এখন ইঙ্গার মঙ্গলামঙ্গল তুমি দেখিবে। ইহাকে তােমারই হাতে অর্পণ করিলাম।” মায়া স্তম্ভিত হইয়া শুনিল, কে যেন বলিল,-“পমায়ু বায়ুক।” প্রতিমার মুখের দিকে চাহিয়া মায়া দেখিল, প্ৰতিমার ঠোঁট দুটি যেন নড়িতেছে। ANO